নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী (বরগুনা), ২১ জানুয়ারি ॥ আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কলাগাছিয়ার পাউবোর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে ইটভাঁটির রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। মা ব্রিকস নামে ইটভাঁটির মালিক কবির মিয়া এ রাস্তা নির্মাণ করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা গেছে, উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের কলাগাছিয়ার কবির মিয়া ৩ বছর আগে মা ব্রিকস নামের একটি ঝিকঝাক ইটভাঁটি নির্মাণ করে। শ্রমিকদের কাজের সুবিধার জন্য ইটভাঁটি সংলগ্ন আমতলী উপ-বিভাগীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৪৩/২এফ পোল্ডারের বন্যা নিয়ন্ত্রণের বাঁধ কেটে রাস্তা নির্মাণ করেছে। বাঁধ কাটায় সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাসসহ যাতায়াতে গুলিশাখালী ইউনিয়নের ২৫ হাজার মানুষ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ কেটে বাঁধের ওপরে গাছের পাটাতন দিয়ে রেখেছে। বাঁধের নিচ দিয়ে ইটভাঁটির শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ইটভাঁটির মালামাল আনা নেয়া করছে। পাটাতনের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেলসহ যানবাহন চলাচল করছে। ভাঁটির এক শ্রমিক জানান মালামাল আনা নেয়ার সুবিধার জন্য বাঁধটি কাটা হয়েছে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন বাঁধ কাটায় জনগণের চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। প্রাকৃতিক জলোচ্ছ্বাসে হলে গুলিশাখালী ইউনিয়ন পানিতে প্লাবিত হবে। মা ব্রিকস ভাঁটির মালিক কবির মিয়া জানান, ভাঁটির শ্রমিকদের কাজের সুবিধার জন্য বাঁধ কাটা হয়েছে। তিনি আরও জানান, পাউবোর কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে এ বাঁধ কেটেছি।
বরগুনার পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এসএম শহীদুল ইসলাম জানান, এ খবর আমার জানা নেই। তবে খোঁজ নিয়ে এখনই ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
স্কুল ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ॥ পাঠদান বন্ধ
নিজস্ব সংবাদদাতা, কিশোরগঞ্জ, ২১ জানুয়ারি ॥ কটিয়াদী পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি ভূমিকম্পে কয়েকটি শ্রেণীকক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত ও দেবে যাওয়ায় স্থানীয় প্রসাশন ইতোমধ্যে বিদ্যালয়ের ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে। শ্রেণীকক্ষে ৪০ শিক্ষার্থী পাঠ গ্রহণের নিয়ম থাকলেও এ বিদ্যালয়ে শতাধিক শিক্ষার্থী গাদাগাদি করে ক্লাস করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে করে শিক্ষার স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। একদিকে আবাসন সঙ্কট অন্যদিকে অধিক ছাত্রছাত্রী থাকায় স্কুলের কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খাচ্ছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে অভিভাবকসহ এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। জানা গেছে, কটিয়াদী পৌরসদরে অবস্থিত এ বিদ্যালয়টি ১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে স্কুলের শিক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩০০। গত কয়েক বছরে এ প্রতিষ্ঠানের পাসের হার গড়ে ৯২%। সরেজমিনে পরিদর্শনে গিয়ে দেখা গেছে, স্কুলের পুরাতন ভবনটির ছয়টি কক্ষের ছাদ থেকে আস্তর খসে পড়েছে। শ্রেণীকক্ষে শিক্ষার্থীরা গাদাগাদি করে ক্লাস করছে। একটি বেঞ্চে চারজন বসার সুযোগ থাকলেও ছয় থেকে সাতজন বসে ক্লাস করছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ গোলাম কিবরিয়া জানান, বিদ্যালয়ের বর্তমান অবস্থার বিষয়টি উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবিহিত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: