পান্থনিবাস বড়ুয়া, রাঙ্গুনিয়া, ৮ জানুয়ারি ॥ ২৭ বছরেও কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি রাঙ্গুনিয়ার বেতাগীর রওশন পল্লীতে। বিদ্যুতের আলো পৌঁছেনি এখনও এখানে। যোগাযোগ ব্যবস্থা নাজুক অবস্থায় নেমে এসেছে। মাত্র দুইজন শিক্ষক দিয়ে চলছে ১৮৭ শিক্ষার্থীর প্রাথমিক বিদ্যালয়। পাহাড় ধসের ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করে এখানকার বাসিন্দারা। এছাড়া স্বাস্থ্যসেবা এখানে একেবারেই উপেক্ষিত।
জানা গেছে, জাতীয় পার্টির সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন রাঙ্গুনিয়ার ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসনে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ১৯৮৭ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের স্ত্রীর নামে বেতাগী ইউনিয়নে ‘রওশন পল্লী’ নামে আবাসন পল্লী গড়ে তোলে। ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করতে ভূমিহীন সমবায় বনায়ন নামে পরীক্ষামূলক প্রকল্প চালু করে বন বিভাগ। তৎকালীন ৮১ পরিবারকে বনায়ন ও থাকার জন্য চার একর করে পাহাড় বরাদ্দ দেয়া হয়। উদ্বোধনের ২৭ বছর কেটে গেলেও নাগরিক সুবিধা দিতে ব্যর্থ হয়েছে প্রকল্পটি। নাগরিক সুবিধা না থাকায় অনেকে নিজের জমি বিক্রি করে অন্যত্র চলে গেছে। লিজকৃত জমি বিক্রি করার অনুমতি না থাকলেও একশ্রেণীর অসাধু চক্রের খপ্পরে পড়ে বিত্তশালীর কাছে জায়গা বিক্রি চলে যাচ্ছে অনেক অসহায় পরিবার। ২০১১ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি গুনগুনীয়া বেতাগী গ্রামের আনোয়ার খাতুন পোমরা এলাকার রফিকুল ইসলামের গংয়ের কাছে ৪০ শতক জমি বিক্রি করে দিয়েছে। এলাকার ছোবহান, নুরুন্নবী, আবু তৈয়ব, আলী আহমদসহ একাধিক ব্যক্তি তাদের বরাদ্দ জায়গা বিক্রি করে দেয় অন্যজনের কাছে। তবে রওশন পল্লী কৃষক, শ্রমিক সমিতির সভাপতি নুুরুল হক এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এখানে কোন প্লট বেচাকেনা হয়নি। বেচাকেনার ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে সবাইকে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।
রওশন পল্লীর বাসিন্দা খায়রা বেগম জানান, প্রায় তিন যুগ ধরে বিদ্যুত না থাকায় এলাকার মানুষ পিছিয়ে আছে। ছেলেমেয়েদের লেখাপড়া ও প্রাত্যহিক কাজকর্মে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। বিদ্যুতের জন্য বার বার সংশ্লিষ্ট দফতরে যোগাযোগ করেও কোন ফল হচ্ছে না।বেতাগী ইউপি চেয়ারম্যান পেয়ারুল হক চৌধুরী স্বপন জানান, এলাকায় বিদ্যুতায়নের প্রক্রিয়া চলছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষক সঙ্কট, যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নয়ন ও বিদ্যুতায়নসহ নানা সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: