ভোটের হাওয়ায় সরগরম রাজশাহী

মামুন-অর-রশিদ, রাজশাহী ॥ রাজশাহীতে এবার জোরেশোরে নির্বাচনের মাঠে নেমে পড়েছেন সম্ভাব্য প্রার্থীরা। মঙ্গলবার পৌর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর ভোটের দৌড়ে গতি বেড়েছে। এরইমধ্যে কোথাও আলোচনা সভা, কোথাও প্রচারণা, আবার কথাও শোডউন চলছে সমানে। নারী প্রার্থীরাও নেমেছে মাঠে।

জেলার পৌর সদর ও এলাকার মোড়ে মোড়ে চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। কারা হচ্ছেন আগামী পৌর নির্বাচনের মেয়র প্রার্থী। কারা হচ্ছে কাউন্সিলর প্রার্থী। কাকে দল থেকে দেয়া হবে মনোনয়ন। কে বাদ পড়তে পারে, বা কে হবে স্বতন্ত্র প্রার্থীÑ এ রকম নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে রাজশাহীর ১৩টি পৌর এলাকায়। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হচ্ছে দেশের পৌর নির্বাচন। আর এবারই প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে দলীয়ভাবে এ নির্বাচন। তবে শুধুমাত্র মেয়র পদে দলগতভাবে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আর দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত হওয়া এ নির্বাচনকে ঘিরেই আরও বেশি শোরগোল পড়েছে রাজশাহীর ১৩ পৌরসভায়। প্রথমবারের মতো দলীয়ভাবে অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেয়র প্রার্থীদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে বাড়তি উত্তেজনা। দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে লবিং-গ্রুপিংয়ের নানা সমস্যার সঙ্গে এবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে দলীয়ভাবে মনোনয়ন পাওয়ার টেনশন। স্থানীয় এমপি বা জেলা পর্যায়ের সভাপতি-সম্পাদকদের কিভাবে ম্যানেজ করবেন, বা পক্ষে আনতে পারবেনÑ তা নিয়েও প্রার্থীদের মাঝে এক ধরনের শঙ্কা বিরাজ করছে। তবে সবকিছু ছাড়িয়ে এখন পৌর নির্বাচনেই মেতে উঠেছে রাজশাহীর ১৩টি পৌর এলাকার শতাধিক মেয়র ও কয়েকশ’ কাউন্সিলর প্রার্থী। এরই মধ্যে জেলার তাহেরপুরে দেখা মিললো ভোটের মাঠে নারী প্রার্থীর। আঙ্গুরি আকরাম নামের এ প্রার্থী সবার আগে জানান দিয়ে মাঠে নেমেছেন কাউন্সিলর পদে। একদিন আগে জেলার আড়ানীতে ব্যাপক শোডাউন দিয়েছে যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান রিপন। তিনি মেয়র পদে লড়তে চান। রাজশাহীর ১৪টি পৌরসভা থাকলেও বাঘা পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে না। ফলে রাজশাহীতে ১৩টি পৌর সভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বলে নির্বাচন কমিশন থেকে গেজেট প্রকাশও হয়েছে। পৌরসভাগুলোর মধ্যে রয়েছে, পুঠিয়া, দুর্গাপুর, তাহেরপুর, ভবানীগঞ্জ, কেশরহাট, মু-ুমালা, তানোর, কাঁকনহাট, গোদাগাড়ী, চারঘাট, আড়ানী, নওহাটা ও কাটাখালি। এসব পৌরসভার সম্ভাব্য মেয়র-কাউন্সিলর প্রার্থীরা এরই মধ্যে নানাভাবে প্রচার-প্রচারণাও শুরু করেছে।