ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচনে টাকার খেলা বৃদ্ধি পাবে

প্রকাশিত: ২৩:২৭, ২৬ অক্টোবর ২০১৫

দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচনে টাকার খেলা বৃদ্ধি পাবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকার নির্বাচন অযৌক্তিক নয়, তবে এতে মনোনয়ন বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার বিগ্রেডিয়ার (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি বলেন, দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচন রাজনৈতিক দলের জন্যে ভালো চর্চা হলেও বাংলাদেশে এখনও সে পরিবেশ গড়ে ওঠে নি। কোনরকম আলোচনা ছাড়াই সরকার এত বড় একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলীয়ভাবে স্থানীয় নির্বাচন করতে গেলে টাকার খেলা বৃদ্ধি পাবে। অনেকেই নমিনেশন কেনার জন্য উচ্চহারে টাকা ঢালবে। এটা বন্ধ করাই বড় চ্যালেঞ্জ। সোমবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তে বাংলাদেশের নির্বাচন প্রেক্ষাপট শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে সাবেক এই নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন। ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের উদ্যোগে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। রাজনৈতক দলগুলোকে আয়-ব্যয়ের সঠিক তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কোন পার্টির কি আয় হচ্ছে আর কি ব্যয় হচ্ছে তা দেখতে হবে ও জানতে হবে। গণতন্ত্রের জন্য তা খুব গুরুত্বপূর্ণ। সাখওয়াত হোসেন আরও বলেন, নির্বাচন কমিশনের মূল দায়িত্ব একজন ভোটার যেন ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন সেটা নিশ্চিত করা। এজন্য কাঠামোগত ফোর্স থাকা দরকার। আলোচনায় অংশ নিয়ে দ্যা এশিয়া ফাউন্ডেশন’র আবাসিক প্রতিনিধি হাসান এম মুজমদার বলেন, স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন না হলে গণতন্ত্র বিনষ্ট হয়। সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে দেশে অব্যহতভাবে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা দেখা দেয়। পূর্ব পরিকল্পিত নির্বাচন করার সব রকমের ব্যবস্থা থাকা অবশ্যক। বর্তমানে যে নির্বাচন কমিশন আছে তারা স্বচ্ছ ও সক্ষম। অ্যাডভোকেট রোকসানা খন্দকার বলেন, দেশে যে নির্বাচনী আইন রয়েছে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা বাস্তবায়িত হতে দেখা যায় না। শুধু নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নয়, এখন সময় এসেছে নির্বাচনী তথ্য-উপাত্তও পর্যালোচনা করে দেখার। নির্বাচন কমিশন ভোটারদের ভোটার সিøপ বা ভোটার নং প্রদানে ব্যর্থ, জনগণ এ সর্ম্পকিত তথ্য জানতেই পারছে না। এর সুযোগ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোও ফয়দা লুটছে। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইলেকশন ওয়ার্কিং গ্রুপের পরিচালক ড. মো. আব্দুল আলিম। মূল প্রবন্ধে তিনি বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশন এখনও শক্তিশালী কাঠামো হিসাবে গড়ে উঠে নি। সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে না পারলে ইসি শক্তিশালী হয় না। সরকারে অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ করতে হলে নির্বাচনকালীন সময়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে অকার্যকর করতে হবে। মূল শক্তি নির্বাচন কমিশনারকে দিতে হবে। তাহলেই কেবল মাত্র নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব। একই সঙ্গে নির্বাচনকালীন সময়ে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) ব্যবহার না করে নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব শক্তি প্রয়োগ করার সুপারিশ জানানো হয় মূল প্রবন্ধে। জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদ’র চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লার সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন ব্যরিস্টার মঞ্চুর হাসান, ব্যারিস্টার মঞ্জুর হাসান, দি এশিয়া ফাউন্ডেশনের আবাসিক প্রতিনিধি হাসান এম মুজমদার প্রমুখ।
×