ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার প্রস্তুতি

প্রকাশিত: ০৬:১৯, ১৩ আগস্ট ২০১৫

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার প্রস্তুতি

সুধীর বরন মাঝি, শিক্ষক, ডক্টর মালিকা কলেজ ,৭/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯, মোবাইল- ০১৯১২-২৯৫০৮৫ ............................................................ প্রাত্যহিক সমাবেশ: ভূমিকা: শারীরিক শিক্ষার আবশ্যিক কর্মসূচির মধ্যে প্রাত্যহিক সমাবেশ একটি । বিদ্যালয়ে এর গুরুত্ব অপরিসীম । প্রাত্যহিক সমাবেশের মধ্য দিয়ে প্রতিদিন বিদ্যালয়ের কর্মসূচি আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু হয়। শিক্ষার্থীদের মধ্যে দলীয় সমঝোতা এবং দেশপ্রেম জাগ্রত করার ক্ষেত্রে এর ভূমিকা অপরিসীম ও অনিবার্য। বদ্যালয়ের সামনে খোলা জায়গায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের ব্যবস্থা থাকবে। পতাকার বাম পাশে প্রধান শিক্ষক,ডান পাশে শারীরিক শিক্ষার শিক্ষক ,তার ডান পাশে বিদ্যালয়ের ক্যাপ্টিন শ্রেণির দিকে মুখ করে দাঁড়াবে। ছাত্ররা শ্রেণী অনুযায়ী ছোট থেকে বড় ক্রমানয়ে লাইন- ফাইল সোজা করে দাঁড়াবে। অন্যান্য শিক্ষক মন্ডলী যে কোন এক পাশে লাইন বা অর্ধবৃত্ত করে পতাকার দিকে মুখ করে দাঁড়াবে। সমাবেশ কালীন কর্মসূচি : ১।প্রথমে প্রধান শিক্ষক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন এবং এই সময় সকলে সোজা হয়ে থাকবে। ২। প্রধান শিক্ষক জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে এক কদম বা এক পদক্ষেপ পিছনে এসে পতাকাকে অভিবাদন করবেন। সাথে সাথে অন্য সকলে সোজা অবস্থায় হাত তুলে অভিবাদন করবে। ৩। পালাক্রমে প্রত্যেক দিন শ্রেণির এক জন শিক্ষার্থী এসে কোরআন পাঠ করবে এবং হিন্দু শিক্ষার্থী থাকলে গীতা পাঠও করবে। কোরআন তেলওয়াতের সময় সকলে আরামে বুকে হাত দিয়ে দাঁড়াবে। ৪। তারপর শ্রেণির অন্যএক জন এসে শপথ পাঠ করাবে। শ্রেনির একজনের আদেশের দ্বারা সমাবেশ পরিচালনা হবে। এই ভাবে এক এক দিন এক এক শ্রেনি সমাবেশ পরিচলনা করবে। ৫। শিক্ষার্থীরা সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে সবাই এক সাথে জাতীয় সংগীত গাইবে। ৬। প্রতিষ্ঠান প্রধানের ভাষণ (প্রয়োজন বোধে) । ৭। ৫মিনিটের জন্য শরীর চর্চা অনুশীলন (পি,টি )। এমন কোন শরীর চর্চা করানো যাবেনা যাতে জামা কাপড়ে মাটি লাগার সম্ভাবনা থাকে। ৮। তারপর শারীরিক শিক্ষকের নির্দেশে শ্রেণি ক্যাপ্টেনের তত্ত্বাবধানে সারিবদ্ধভাবে ক্লাশে যাবে। ৯। শারীরিক শিক্ষকের নির্দেশে বিদ্যালয়ের ক্যাপ্টিন সমাবেশ পরিচলনা করবে। সমাবেশের প্রয়োজনীয়তা : ১। শিক্ষার্থীদের মধ্যে দলীয় মনোভাব ও সমঝোতা বৃদ্ধি করে। ২। জাতীয় চেতনা ,জাতীয়তা বোধ এবং দেশপ্রেম জাগ্রত হয়। ৩। সুস্থ শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটে। ৪। সুস্থ প্রতিযোগিতার মনোভাব বৃদ্ধি পায় । ৫। দেহ ও মনে সুস্থ জীবন - যাপন করতে পারে। ৬। চারিত্রিক গুনাবলি বিকশিত হয় । ৭। নেতৃত্ত্বের গুনাবলি বিকশিত হয় । সুধীর বরন মাঝি, শিক্ষক, ডক্টর মালিকা কলেজ ,৭/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা-১২০৯, মোবাইল- ০১৯১২-২৯৫০৮৫
×