ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আশাবাদী কোচ জোশে মরিনহো

শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ চেলসির

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ৫ আগস্ট ২০১৫

শ্রেষ্ঠত্ব ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ চেলসির

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ গত মৌসুমে (২০১৪-১৫) দীর্ঘ পাঁচ বছরের অপেক্ষার অবসান হয় চেলসির। ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা জয় করে দ্য ব্লুজরা। আসন্ন নতুন মৌসুমে (২০১৫-১৬) দলটির লক্ষ্য শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট ধরে রাখা। তবে মিশন শুরুর আগে মৌসুম শুরুর আসর কমিউনিটি শিল্ডে আর্সেনালের কাছে শিরোপা খুইয়েছে চেলসি। এ নিয়ে অবশ্য মোটেও চিন্তিত নন দলটির কোচ জোশে মরিনহো। পর্তুগীজ এই লৌহমানব জানিয়েছেন, ইপিএলের শিরোপা ধরে রাখতে সম্ভব সব রকম প্রচেষ্টাই করবে তার দল। অবশ্য শিরোপা ধরে রাখার কাজটি যে সহজ হবে না তা বুঝতে পারছেন মরিনহো নিজেও। সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ কোচ বলেন, প্রিমিয়ার লীগের শিরোপা জেতাটা এখন আর সহজ কাজ নয়। কারণ প্রত্যেক ক্লাবই অনেক বড় ফুটবলার দলে ভেড়াচ্ছে। এখন প্রতিযোগিতাটা আর শীর্ষ কয়েকটি ক্লাবের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। তবে এই চ্যালেঞ্জকে ভয় হিসেবে নিচ্ছেন না মরিনহো। বরং খেলাটাকে উপভোগ করতে চান তিনি। স্পেশাল ওয়ান বলেন, বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন লীগে এই মুহূর্তে আমরা চ্যাম্পিয়ন। তাই আমরা জানি এই অর্জনের পুনরাবৃত্তি করা কতটা কঠিন। কিন্তু আমরা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুত। চ্যালেঞ্জকে আমরা উপভোগ করতে চাই। গত মে মাসে দীর্ঘ পাঁচ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ইপিএলের সেরা হয় চেলসি। ঘরের মাঠ লন্ডনের স্টামফোর্ড ব্রিজে ক্রিস্টাল প্যালেসকে ১-০ গোলে হারিয়ে তিন ম্যাচ হাতে রেখেই শিরোপা শোকেসে ভরা নিশ্চিত করে মরিনহোর দল। এ নিয়ে দুই মেয়াদে কোচ মরিনহো চেলসিকে উপহার দিয়েছেন আটটি শিরোপা। এর আগে প্রথম মেয়াদে ছয় শিরোপা জয় করেছিল ইংলিশ পরাশক্তিরা। দ্বিতীয় দফায় আসার পর সাফল্য পাচ্ছিলেন না কিছুতেই। প্রথম বছর সাফল্যহীন থাকার পর গত মৌসুমে দলকে দারুণ সাফল্যে ভাসিয়েছেন পর্তুগীজ লৌহমানব। এই ধারাবাহিকতায় লীগ কাপের শিরোপা ঘরে তুলেছেন গত মার্চে। এরপর পুনরুদ্ধার করেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ ফুটবলের শিরোপা। প্রথম দফায় চেলসির হয়ে মরিনহোর জেতা ছয় শিরোপা হলোÑ দুটি ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ (২০০৪-০৫, ২০০৫-০৬), একটি এফএ কাপ (২০০৬-০৭), দুটি লীগ কাপ (২০০৪-০৫, ২০০৬-০৭) ও একটি কমিউনিটি শিল্ড (২০০৫)। মরিনহোর পরশে সবদলই যেন স্বর্ণ সাফল্য পেয়ে থাকে। পর্তুগীজ এই লৌহমানব তার দক্ষতা ও মেধা দিয়ে ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় সাফল্যে ভাসিয়েছেন তার ক্লাবকে। রিয়াল মাদ্রিদ থেকে দ্বিতীয় মেয়াদে স্টামফোর্ড ব্রিজে আসার পর চেলসিকেও তিনি পরিণত করেছেন অপ্রতিরোধ্য দলে। উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগ ফুটবলে ব্লুজরা ব্যর্থ হলেও লীগ কাপ ও ইপিএলের শিরোপা ঘরে তুলেছে চেলসি। ব্লুজদের হয়ে মরিনহোর এটা তৃতীয় প্রিমিয়ার লীগ শিরোপা। স্পেশাল ওয়ান প্রথম মেয়াদে ২০০৪-০৫ ও ২০০৫-০৬ মৌসুমে ইপিএলে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন চেলসিকে। আসন্ন নতুন মৌসুমে মরিনহোর মিশন চেলসিকে চতুর্থ লীগ শিরোপা উপহার দেয়া। মরিনহোর প্রশংসায় গদগদ হয়েছেন সাবেক জার্মান তারকা ফুটবলার লোথার ম্যাথিউস। এক্ষেত্রে তিনি চেলসি কোচকে এগিয়ে রেখেছেন বেয়ার্ন মিউনিখের পেপ গার্ডিওলার চেয়ে। স্পেশাল ওয়ান মরিনহো এফসি পোর্তো, চেলসি, ইন্টার মিলান ও রিয়াল মাদ্রিদের হয়ে লীগ শিরোপা জিতেছেন। যেখানে গার্ডিওলা শুধু বার্সিলোনার হয়েই দাপট দেখিয়েছেন। আর বেয়ার্নের হয়ে দুটি বুন্দাসলিগা জিতেছেন। তবে দু’জন কোচই দুটি করে চ্যাম্পিয়ন্স লীগ জিতেছেন। এ দু’জন বর্তমানে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সেরা দুই ক্লাবের কোচিংয়ের কাজ করছেন। তবে ম্যাথিউস বিশ্বাস করেন চেলসি কোচ অনেক সফল। এক সাক্ষাতকারে ম্যাথিউস বলেন, গার্ডিওলা বিশ্বের সেরা কোচ নন। এক্ষেত্রে আমি অবশ্যই মরিনহোকে এগিয়ে রাখব। সে নাম্বার ওয়ান। কারণ সে গার্ডিওলা থেকে অনেক স্বচ্ছ ও স্পষ্ট। তিনি আরও বলেন, মরিনহোর অধীনে ফুটবলারদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। সে ফুটবলারদের মুখের ওপর সরাসরি কথা বলে। এটা অনেক বড় গুণ।
×