ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সম্পাদক সমীপে

প্রকাশিত: ০৪:০০, ২৯ এপ্রিল ২০১৫

সম্পাদক সমীপে

ইন্টারনেটের গতি চাই দক্ষিণ এশিয়ার কৃষি শিক্ষার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল ক্যাম্পাস গড়ার লক্ষ্যে ক্যাম্পাস ও ক্যাম্পাসের প্রতিটি হলে ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। তবে পরিতাপের বিষয় হচ্ছে এই সুবিধা শুধু ক্যাম্পাস ও হলের নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় পাওয়া যায়। যেসব জায়গায় আছে সেখানেও ইন্টারনেটের গতি তেমন পাওয়া যায় না। বর্তমান যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার জন্য ইন্টারনেটের ব্যবহার অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই সুবিধা থেকে বাকৃবি বেশিরভাগ শিক্ষার্থী বঞ্চিত হচ্ছে। এখানে ইন্টারনেট সংযোগকারী বেসরকারী কোম্পানির কোন সংযোগ নেই। এখানকার কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে যে সাইবার ক্যাফে রয়েছে, সেখানেও ইন্টারনেটের গতি খুবই কম। অতি সত্বর সমস্যার সমাধান হয়, তাই চাই। শাহিন সরদার লেভেল-১ সেমিস্টার-১ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ সর্ষেয় ভূত আছে আমাদের দুর্ভাগ্য, স্বাধীনতার চুয়াল্লিশ বছর পরেও দেশে এখনও স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী এবং তাদের সমর্থনকারী অনেকে আছে বিশ্বের আর কোন দেশে এই অবস্থা নেই। আমরা এমনই অকৃতজ্ঞ জাতি যে স্বাধীনতার মূল্য তো বুঝিই না, এমনকি স্বাধীনতার জনক এবং তার চার সহযোগীকে হত্যার মত নির্বুদ্ধিতার কর্মটিও সম্পন্ন করেছি। যা হোক, বঙ্গবন্ধুকন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে উল্লেখ করছিÑ এত বিশাল প্রতিকূলতার মধ্যেও অসাধ্য সাধন করে যাচ্ছেন আপনি। প্রায় সব সূচকেই এগিয়ে আছে বাংলাদেশ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর চাইতে। আর আপনি তো জানেনই, যখন কেউ এগিয়ে আছে বাংলাদেশ পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর চাইতে। আর আপনি তো জানেনই, যখন কেউ এগিয়ে যায় তখন তার অনেক শত্রু হয়। বর্তমানে আমাদের দেশ একটি আদর্শিক যুদ্ধাবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এবং যুদ্ধ আরম্ভ হয় জাতির পিতাকে হত্যার মধ্য দিয়ে ১৯৭৫ সালে । যুদ্ধটি স্বাধীনতার বিপক্ষরা ধর্মাশ্রয়ী পাকিস্তানপন্থী মৌলবাদীদের। এখানে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছেÑ এই স্বাধীনতার বিপক্ষের ধর্মাশ্রয়ী পাকিস্তানপন্থী মৌলবাদীদের। এই স্বাধীনতার বিপক্ষরা পঁচাত্তর পরবর্তী দীর্ঘসময় রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকে। এবং রাষ্ট্রের সর্বত্র যেমনÑ শিক্ষা, সংস্কৃতি, বিচার বিভাগ, প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বিভাগ সর্বত্রই স্বাধীনতার বিপক্ষ মানসিকতার ব্যক্তি নিয়োগ করে গোটা রাষ্ট্রব্যবস্থাকে এই স্বাধীনতাবিরোধীচক্র তাদের আয়ত্তভুক্ত করে ফেলে। ফলশ্রুতিতে দীর্ঘসময় পরেও বিশেষত ছিয়ানব্বই-এর পূর্বে ও ২০০২ পরবর্তীতে নিয়োগকৃতরা রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্থানে এবং স্তরে বহালতরিয়তে বেতন ভোগ করছে এবং যখনই সুযোগ পাচ্ছে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে, স্বাধীনতার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। এমনকি মৌলবাদী বিভিন্ন সংগঠন ও সন্ত্রাসী নাশকতাকারীদের সন্ত্রাসী কর্মকা-ে কৌশলে সহযোগিতা করছে এরা। দেশে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনাই সংশ্লিষ্ট বিভাগ এবং দায়িত্বদের নিষ্ক্রিয়তা এবং পরবর্তীতে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না হওয়া এমন প্রচ্ছন্ন প্রমাণই বহন করে। তাই প্রধানমন্ত্রী বরাবরে অনুরোধ, সর্ষেয় ভূত থাকলে রোগী সুস্থ হওয়ার পরিবর্তে মারা যাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। আর সর্ষের ভূত তাড়াবার একমাত্র পদ্ধতিই হচ্ছে যখনই যেখানে বেআইনী অঘটন কিছু ঘটবে তখনই সেখানে দায়ীদের বিরুদ্ধে অত্যন্ত কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এতে সর্ষের ভূত পালাবে এবং রোগীও সুস্থ হবে। হাবিবুল ইসলাম আগ্রাবাদ, চট্টগ্রাম একটি আবেদন প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকন্যা। আপনার পিতা পরাধীন বাঙলী জাতির স্বাধীনতা আর মুক্তির জন্য জীবনের সোনালি সময়টায় আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করে দিনের পর দিন কারাভোগ করে অবশেষে সফলতাও পেয়েছেন। অন্যদিকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম জাতি হিসাবে বিশ্বসভায় আত্মমর্যাদাশীল সমৃদ্ধশালী জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত এবং মাটি আর মানুষের কল্যাণে নিরলস পরিশ্রম করেও স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকদের হাতে সপরিবারে জীবন উৎসর্গ করে গেছেন। কিন্তু আল্লাহর অশেষ রহমতে সত্যিকার অর্থে এ জাতির ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আপনাকে দূরদেশে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। দীর্ঘদিন পর আপনার পিতার হত্যাকারী স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী পাকিস্তানী নরপিশাচদের এদেশীয় পেতত্মাদের থেকে নির্যাতিত নিপীড়িত মেহনতী মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে মা-মাটি মানুষের ডাকে শান্তির ছায়া বৃষ্টি মাথায় নিয়ে এই পবিত্র মাটিতে পা রাখলেন। পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে এদেশের কৃষক-শ্রমিক মেহনতী মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে ওদের ভোট ও ভাতের অধিকার আদায়ে তিলতিল করে আন্দোল সংগ্রামের সফলতায় আজ আপনি ক্ষমতার শীর্ষে অবস্থান করছেন। কিন্তু আপনার পিতার হত্যাকরী ঘাতকদের বুলেট আর গ্রেনেড আপনাকে তাড়িযে ফিরছে। কিন্তু আপনার সাহসিকতা রাজনৈতিক দূরদর্শিতা দেশে পরিচালনায় বিচক্ষণতা একটি ভীষণকে সামনে রেখে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন আপনার নিরলস পরিশ্রমে তা আজ বাস্তবায়নের পথে। দেশের জনগণ আপনার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ছায়া দেশে যখন আস্থা স্থাপন করেছে ঠিক তখনই আপনি একটি ধ্বংসযজ্ঞের প্রতিবাদ আর সেই দল ও জোটের নেত্রীর বিরুদ্ধে বিষোদাগার করছেন। তা না করে কঠোর হস্তে দমন করুন। আর উন্নয়নের চাকা সচল রাখতে নিজ দলীয় নেতাকর্মী ও মন্ত্রণালয়গুলোকে কঠোর নির্দেশ দিন, যাতে সাধারণ মানুষের মনে আপনার প্রতি তাদের আস্থা এবং বিশ্বাসে এতটুকু চির না ধরে। মুহাম্মদ ওসমান গনী কেরানীগঞ্জ, ঢাকা চকবাজার শেখ পুকুর চট্টগ্রাম নগরীর চকবাজার এলাকার গুলজার মোড় হয়ে লালচাঁন্দ সড়কের দিকে এগিয়ে এলে চোখে পড়বে গলি। এই গলির ভেতরে ঢুকলে দেখা যাবে একটি মাঠ এবং একটি পুকুরের মৃতপ্রায় অস্তিত্ব। এই পুকুর শেখের পুকুর নামে পরিচিত। এক সময় এই পুকুরে মাছ ছিল, পানি ছিল এবং এলাকার লোকজন ব্যবহার করত পুকুরের পানি। কিন্তু কালক্রমে এই পুকুরের পানি শুকিয়ে চারপাশে ময়লা-আর্বজনা জমে ক্রমশ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ফলে এর পূর্বের আকার আর নেই। এখন বিভিন্ন প্রকার ঘাস-লতায় ভরে গেছে পুকুরটি। মশা-মাছি, কীট-পতঙ্গের নিরাপদ আবাসস্থল ও প্রজনন কেন্দ্র হয়ে উঠেছে শেখ পুকুর। পুকুরের একপাশে শিব মন্দির এবং এর পাশেই চকবাজার থানা। এই দিকে ব্যবহারোপযোগী পাকা ঘাট এখনও রয়েছে। আরেক পাশে একটি মাঠ এবং অন্য পাশে গড়ে উঠেছে বিশাল দালান কোঠা। এলাকায় অগ্নিকাে শেখ পুকুরের পানি ব্যবহার করা হতো একসময়। পরিবেশ অধিদফতর ও ফায়ার ব্রিগেড কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচরে থাকলেও শেখের পুকুর ভরাট হয়ে যাওয়া থেকে বাঁচানোর উদ্যোগ নেই কারও। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষই পারেন একমাত্র এই শেখের পুকুরটিকে সংস্কার করে ব্যবহার করার জন্য এলাকার জনগণকে ফিরিয়ে দিতে। ফিরিয়ে দিতে পারেন জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এই পুকুরকে পূর্বের অবস্থায় নিয়ে যেতে। শোভন দাশ বাবু চকবাজার. চট্রগ্রাম
×