ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

আজ মুদ্রানীতি ঘোষণা

প্রকাশিত: ০৪:৩৯, ২৯ জানুয়ারি ২০১৫

আজ মুদ্রানীতি ঘোষণা

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ বেসরকারী খাতে ঋণপ্রবাহ বাড়ানো, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং উৎপাদনশীল খাতকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে চলতি অর্থবছরের শেষার্ধের (জানুয়ারি-জুন) মুদ্রানীতি ঘোষণা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক গবর্নর ড. আতিউর রহমান নতুন এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করবেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে মুদ্রানীতির ভঙ্গি হবে আগের মতোই সতর্ক ও বিনিয়োগবান্ধব। জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতিতে ডিসেম্বর পর্যন্ত বেসরকারী খাতের ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ১৪ শতাংশ। তবে বিদেশী ঋণকে যুক্ত করে তা সাড়ে ১৬ শতাংশ করা হয়। কিন্তু ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণ প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১২ দশমিক ৬৭ শতাংশ। তাই ঘোষিত ঋণ প্রবৃদ্ধি লক্ষ্যমাত্রা অপরিবর্তিত রেখেই নয়া মুদ্রানীতি ঘোষণা করা হবে। মুদ্রানীতি প্রণয়নে জড়িত এক কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য নতুন কিছু বিষয় যুক্ত করার কাজ চলছে। বিশেষ করে আর্থিক অন্তর্ভুক্তিকে প্রাধান্য দেয়া হবে। এতে এসএমই, কৃষি, ১০ টাকার হিসাব, গ্রিন ব্যাংকিংসহ বিভিন্ন নতুন উদ্যোগ প্রাধান্য দেয়া হবে। ব্যাংকগুলোকে এসব দিকে আরও বেশি জোর দিতে বলা হবে। বড় অপেক্ষা ছোট গ্রাহকের দিকেই বেশি মনোযোগী হতে হবে ব্যাংককে। এভাবে ঋণ প্রবৃদ্ধি অর্জনই এখন প্রধান লক্ষ্য। বেসরকারী খাতে ঋণপ্রবাহ কমিয়ে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনের আশা ব্যক্ত করা হয়েছে চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে। তবে বিদেশী ঋণকে যুক্ত করে বেসরকারী খাতের ঋণের লক্ষ্যমাত্রা একই ধরা হয়েছে, যাতে মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার আশা করা হয়। এতে বলা হয়, মুদ্রানীতির ভঙ্গি আগের মতো সতর্ক ও বিনিয়োগবান্ধব। এর লক্ষ্য অর্থনীতিতে অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি সম্ভাব্য সর্বোচ্চ মাত্রায় জোরালো করা। তবে ডিসেম্বরে জাতীয় পর্যায়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১১ শতাংশ, নবেম্বরে যা ছিল ৬ দশমিক ২১ শতাংশ। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে এ মূল্যস্ফীতি ছিল ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ। দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিনিয়োগ বোর্ডে ৩২১ প্রকল্প নিবন্ধন অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর) দেশে ৩২১টি প্রতিষ্ঠান নিবন্ধিত হয়েছে, যাতে প্রায় সাড়ে ২০ হাজার ৫শ’ কোটি টাকা বিনিয়োগের প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিনিয়োগ বোর্ড। বুধবার বোর্ডের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৪Ñ১৫ অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বর সময়ে নিবন্ধিত ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ২০ হাজার ৫শ’ কোটি ৩৭ লাখ টাকা, যা আগের প্রান্তিকের (জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর) চেয়ে এক হাজার ৫১১ কোটি টাকা বা ২ দশমিক ৫৫ শতাংশ বেশি। প্রথম প্রান্তিকে নিবন্ধিত ৩৪৫টি শিল্প প্রতিষ্ঠানে প্রস্তাবিত বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ২০ হাজার ৪৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্বিতীয় প্রান্তিকে নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে ৪৩ হাজার ১২৯ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৯১টি স্থানীয়, ৭টি বিদেশী এবং ২৩টি যৌথ বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে স্থানীয় বিনিয়োগ এসেছে ১৬ হাজার ৬০৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। প্রথম প্রান্তিকে বিনিয়োগ এসেছিল ১৮ হাজার ৩৩৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিদেশী ও যৌথ বিনিয়োগ এসেছে ৩ হাজার ৯৫৪ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এর আগে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) সময়ে বিনিয়োগ এসেছে ১ হাজার ৭১১ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।
×