ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ২৪ জানুয়ারি

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ৬ জানুয়ারি ২০১৫

আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব শুরু ২৪ জানুয়ারি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ শিশুদের জন্য চমৎকার এক আয়োজন। বিনা দর্শনীতে দেশ-বিদেশের বৈচিত্র্যময় বিষয়ের ছবি দেখার দারুণ এক সুযোগ। আগামী ২৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে অষ্টম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন-স্লোগানে সপ্তাহব্যাপী এ উৎসবের আয়োজক চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ (সিএফএস)। সারাদেশের ১৪টি ভেন্যুতে প্রদর্শিত হবে ৪৬টি দেশের দুই শতাধিক চলচ্চিত্র। ঢাকার পাশাপাশি চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেট, বরিশাল, রংপুর ও খুলনায় একযোগে চলবে শিশুতোষ চলচ্চিত্রের এ বৃহৎ আয়োজন। রাজধানীর মূল উৎসব কেন্দ্র হবে সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তন। এখানে প্রতিদিন সকাল ১১টা, দুপুর দুইটা, বিকেল চারটা ও সন্ধ্যা ৬টায় মোট চারটি করে প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি প্রদর্শনীতে দেখানো হবে একাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র। শিশু-কিশোরদের সঙ্গে অভিভাবকরাও বিনা দর্শনীতে উপভোগ করতে পারবেন এসব ছবি। গণগ্রন্থাগার ছাড়াও রাজধানীর উৎসবের অন্য আঙিনাগুলো হলো জাতীয় জাদুঘর, শিল্পকলা একাডেমি, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের ধানম-ি ও উত্তরা শাখা এবং সোবহানবাগের ডেফোডিল ইউনিভার্সিটি। উৎসব উপলক্ষে সোমবার চিলড্রেন্স ফিল্ম সোসাইটি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানা যায়। মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিগত কয়েকটি উৎসবের সঙ্গে সম্পৃক্ত শিশু-কিশোররা পরিচালনা করবে এবারের উৎসব। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সিএফএসের সভাপতি নন্দিত লেখক ও শিক্ষাবিদ ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মুনিরা মোরশেদ মুননী, উৎসব পরিচালক রায়ীদ মোরশেদ ও চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম। মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, এ উৎসব এখন আর শুধু বিনোদনে সীমাবদ্ধ নেই, পরিণত হয়েছে আন্দোলনে। শিশু-কিশোররাই এ আয়োজনের মূল শক্তি। সারা পৃথিবীর বাছাই ছবি দেখার পাশাপাশি উৎসবে প্রদর্শিত হচ্ছে তাদের নির্মিত চলচ্চিত্র। এবারের উৎসবের দায়িত্বটিও পালন করবে তারা। পৃষ্ঠপোষকতার অভাবের বিষয়টি উঠে আসে মোরশেদুল ইসলামের বক্তব্যে। তিনি বলেন, শিশুতোষ চলচ্চিত্র নিয়ে এত বড় একটি উৎসব হলেও পৃষ্ঠপোষক পাওয়া যাচ্ছে না। ষষ্ঠ উৎসব পর্যন্ত পৃষ্ঠপোষকতা করেছে ইউনিসেফ ও টিআইবি। গত সপ্তম উৎসব থেকে তারা সহায়তার হাত গুটিয়ে নিয়েছে। এবারও তাদের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। সরকারী সহায়তার আশ্বাস থাকলেও সেটিও এখন পর্যন্ত নিশ্চিত হয়নি। তবে সুদূরপ্রসারী ভাবনা নিয়ে আমরা এ উৎসব চালিয়ে যাব। কারণ, এ উৎসবের মাধ্যমে তৈরি হচ্ছে আগামীর নির্মাতা। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২৪ জানুয়ারি বিকেল চারটায় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে উৎসবের উদ্বোধন হবে। এবারের উৎসব উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি থাকবেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। সভাপতিত্ব করবেন উৎসব উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যান বরেণ্য চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার। উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে থাকছে বাংলাদেশী শিশুদের নির্মিত প্রতিযোগিতা বিভাগ। এতে এবার জমাকৃত ৮০টি চলচ্চিত্র থেকে প্রদর্শিত হবে নির্বাচিত ৩০টি ছবি। এর মধ্যে ৫টি ছবিকে পুরস্কৃত করা হবে। পুরস্কার হিসেবে থাকছে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও আর্থিক প্রণোদনা। পুরস্কারের জন্য গঠিত পাঁচ সদস্যের জুরি বোর্ডের সদস্যরাও সবাই শিশু-কিশোর। ছোটরাই বাছাই করবে ছোটদের নির্মিত সেরা ছবিগুলো। এছাড়াও এবার ‘ইয়াং বাংলাদেশী ট্যালেন্ট’ শীর্ষক নতুন পুরস্কার চালু করা হয়েছে। এ বিভাগে ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণ নির্মাতারা অংশ নেবেন। একই সঙ্গে এবার একটি আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। এ বিভাগে উৎসব কমিটির দ্বারা মনোনীত বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের মোট ১৫টি চলচ্চিত্র অংশ নেবে। এ প্রতিযোগিতার জন্য পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত নির্মাতা বুদ্ধদেব দাস গুপ্তকে চেয়ারম্যান করে তিন সদস্যের জুরি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। উৎসবে সামাজিক চলচ্চিত্র বিভাগের আওতায় ২৭ জানুয়ারি সকাল ১১টায় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাল্যবিবাহবিষয়ক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। এ বিভাগে জমাকৃত আটটি চলচ্চিত্রের মধ্যে পাঁচটির প্রদর্শনী হবে। একটিকে পুরস্কৃত করা হবে। উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হবে ৩০ জানুয়ারি বিকেল ৫টায় জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে। আলিয়ঁসে কালিদাস কর্মকারের ‘পাললিক তাল’ ॥ সৃজনের বিচিত্র ভুবনে প্রতিনিয়ত নিজ জন্মভূমিকে ধারণ করেছেন চলেছেন চিত্রশিল্পী কালিদাস কর্মকার। এ ভূখ-ের যাপিত জীবন, নানা ধর্মের সমন্বয়, লোকশিল্পের নানা প্রতীক উপাদন হিসেবে এসেছে তাঁর চিত্রকলায়। সোমবার থেকে ধানম-ির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজে শুরু হলো আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্নœ এই শিল্পীর শিল্পকর্ম প্রদর্শনী। শিরোনাম পাললিক তাল।
×