ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২

লক্ষ্মীপুরে মেঘনার জোয়ারের পানিতে লাখো মানুষের ভোগান্তি

মহিউদ্দিন মুরাদ, লক্ষ্মীপুর

প্রকাশিত: ০০:১০, ২৯ জুলাই ২০২৫

লক্ষ্মীপুরে মেঘনার জোয়ারের পানিতে লাখো মানুষের ভোগান্তি

ছবিঃ সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে মেঘনা নদীতে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীর উপকূলে অবস্থিত কমলনগর ও রামগতি উপজেলার বিভিন্ন এলাকা অতিরিক্ত পানিতে প্লাবিত হয়েছে। ফলে লক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে।

রবিবার (২৭ জুলাই) বিকেল পর্যন্ত গত দুই দিন যাবৎ নদীতে পানির উচ্চতা বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যার ফলে নদীর তীরবর্তী গ্রামগুলো জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। বসতবাড়ি এবং সড়কে পানি উঠে গেছে। কারও কারও বসতঘরেও পানি ঢুকে পড়েছে। নদীতে ভাটার ফলে সন্ধ্যার দিকে পানি নামতে শুরু করেছে। গত তিন দিন ধরে এ অবস্থা চলছে।

সরেজমিনে কমলনগরের চর কালকিনি, মতিরহাট থেকে লুধুয়া, মধ্য ও পশ্চিম চরমার্টিন গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, জোয়ারের পানি হু হু করে লোকালয়ে ঢুকছে। এতে নিচু এলাকা তলিয়ে যেতে দেখা যায়। বসতবাড়ির উঠান এবং সড়কে পানি উঠে গেছে। এলাকা সংলগ্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। প্রচণ্ড জোয়ারে অনেকের পুকুর ভেসে গেছে, মাছ ভেসে গেছে।

চর কালকিনি এলাকার রফিক চৌধুরী জানান, জোয়ারের পানিতে তারা বারবার ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। ঘরে পানি উঠে গেলে সাময়িক অসুবিধার মধ্যে পড়তে হয়। রান্নার কাজে ব্যাঘাত ঘটে। গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েন তারা। এ ছাড়া মাঠে থাকা আমনের বীজতলা নষ্ট হচ্ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সরকার মেঘনা নদীর তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণের জন্য ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার বরাদ্দ দেয়। চলতি বছর কাজের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। কিন্তু গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার ক্ষমতাচ্যুতির পর ৫ জন ঠিকাদার লাপাত্তা রয়েছেন। এতে কয়েক কিলোমিটার বাঁধের কাজ এখনও ধরা পড়েনি। চলমান কাজগুলোও ধীরগতিতে চলছে।

লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাহিদ উজ-জামান খান বলেন, আগে মানুষ এত পানি দেখেনি। নদীর তীররক্ষা বাঁধের যেসব কাজ ধীরগতিতে চলছিল, সেই ঠিকাদারদের ৮টি কাজ বাতিল করা হয়েছে। এসব কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে বাঁধের ৪০ শতাংশেরও বেশি কাজ শেষ হয়েছে। এদিকে, মেঘনার জোয়ারেও তোড়ে রামগতির বয়ারচর ব্রিজ এবং রামগতি সড়ক বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে।

ইমরান

×