ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি, ভোগান্তিতে জনসাধারণ

জাহিদ হাসান মাহমুদ মিম্পা, চাঁপাইনবাবগঞ্জ 

প্রকাশিত: ১৬:৩৯, ২১ জুলাই ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জে বৃষ্টি হলেই হাঁটু পানি, ভোগান্তিতে জনসাধারণ

ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ।

অল্প সময়ের বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরবাসী। কয়েক মিনিটের বৃষ্টিতে বিভিন্ন এলাকায় হাঁটুপানি জমে যায়। এতে স্কুলশিক্ষার্থী, পথচারী, যানবাহন ও মার্কেটে আসা সাধারণ মানুষ দুর্ভোগে পড়েন।

সরেজমিন দেখা গেছে, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার ডিসি কার্যালয়ের সামনে কালেক্টর চত্বর, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনের সড়ক, নিউমার্কেট, ক্লাব সুপার মার্কেট, প্রফেসরপাড়া, বালুবাগান, আরামবাগ, মেথরপাড়া, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের সামনে, বাতেন খাঁ মোড় সহ অনেক জায়গায় হাঁটুপানি জমে আছে।

পৌরবাসীর অভিযোগ, অপরিকল্পিত ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণেই অল্প বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা তৈরি হচ্ছে। পানি নিষ্কাশনের কার্যকর ব্যবস্থা না থাকায় এবং সময়মতো ড্রেন পরিষ্কার না করায় এমন পরিস্থিতি। তারা বলেন, সরকার কোটি কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে ছোট ছোট ড্রেন নির্মাণ করা হচ্ছে, যেগুলো কার্যকর নয়।

আরামবাগ এলাকার বাসিন্দা জিয়াউর রহমান বলেন, আমরা এক অথই সাগরে বসবাস করছি। অল্প বৃষ্টিতেই হাঁটুপানি হয়ে যায়, বাসা থেকে বের হওয়া দায় হয়ে পড়ে। 

প্রফেসরপাড়ার বাসিন্দা আবুল কালাম বলেন, একটু বৃষ্টিতেই যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে পৌরসভা কি ঘুমিয়ে আছে? নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের পাশে ছোট ড্রেন নির্মাণ হচ্ছে, তাও ঢিমেতালে। এভাবে পানি নিষ্কাশন সম্ভব নয়। এটা শুধুই টাকা অপচয়ের কাজ।

ক্লাব সুপার মার্কেটের দোকানদার ফেরদৌস হোসেন বলেন, কয়েক মিনিটের বৃষ্টিতেই পুরো মার্কেট পানিতে ডুবে যায়। আগেও অল্প বৃষ্টিতে এমন হয়েছে। নিউ মার্কেটেও একই অবস্থা।

এ বিষয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী তোফিকুল ইসলাম বলেন, পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে ড্রেন নির্মাণ চলছে। বৃষ্টির কারণে কাজ কিছুটা ধীর গতিতে চলছে। কাজ শেষ হলে কিছুটা হলেও দুর্ভোগ কমবে।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মামুন অর রশীদ বলেন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় জলাবদ্ধতা হচ্ছে। আমরা সাধ্যমতো লোকবল দিয়ে ড্রেন পরিষ্কার করছি। তবে পুরোপুরি সম্ভব হচ্ছে না। এর জন্য পৌরবাসীও দায়ী, তারা ড্রেনে ময়লা ফেলে ড্রেন বন্ধ করে দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আগামীতে পৌরবাসীর দুর্ভোগ কমাতে একটি “মাস্টার প্ল্যান” করা হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে আশা করি সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে।

মিরাজ খান

×