
ছবি: সংগৃহীত
কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেল ফের আলোচনায়—এবার উবার চালককে মারধরের অভিযোগে তাকে আটক করে পুলিশ। শনিবার (১৯ জুলাই) গভীর রাতে রাজধানীর কল্যাণপুরে এ ঘটনা ঘটে। পরে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায়। রোববার (২০ জুলাই) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাজ্জাদ রোমান।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, মদ্যপ অবস্থায় এক উবার চালকের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন নোবেল। একপর্যায়ে তিনি চালককে মারধর করেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে স্থানীয়রা জড়ো হন এবং নোবেলকে ঘিরে ফেলেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ তাকে, চালক ও গাড়িটি থানায় নিয়ে যায়। তবে পরবর্তীতে কোনো পক্ষ অভিযোগ না করায় জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
উবার চালক আকবর হোসেন জানান, নোবেল ও তার প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ উবার অ্যাপের মাধ্যমে একটি প্রাইভেট কার ভাড়া করে কল্যাণপুর থেকে হাবুলের পুকুরপাড় এলাকায় যান। গন্তব্যে পৌঁছালেও নোবেল গাড়ি থেকে নামতে অস্বীকৃতি জানান এবং অপ্রাসঙ্গিক কথাবার্তা ও গালিগালাজ করতে থাকেন। এতে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে নোবেল উত্তেজিত হয়ে তাকে মারধর করেন। নোবেল ও সালসাবিলের বিয়ে হয় ২০১৯ সালে। তবে নোবেলের উচ্ছৃঙ্খল আচরণে বিরক্ত হয়ে ধীরে ধীরে সম্পর্ক থেকে সরে আসেন সালসাবিল। দীর্ঘদিন কেবল কাগজে-কলমেই টিকে ছিল তাদের বৈবাহিক সম্পর্ক। শেষমেশ ২০২৩ সালে সালসাবিল পাঠান ডিভোর্সের আইনি নোটিশ।
এদিকে ২০২৪ সালের ১৯ জুন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে নোবেল বিয়ে করেন ইডেন কলেজের এক সাবেক শিক্ষার্থীকে, যিনি তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। প্রশ্ন উঠছে—তাহলে কি নোবেল তখনও প্রাক্তন স্ত্রী সালসাবিলের সঙ্গেই ছিলেন?
মিরপুর মডেল থানার ওসি সাজ্জাদ রোমান জানান, রাস্তায় ড্রাইভারের সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়েছিলেন নোবেল। পরে টহল পুলিশ এসে তাদের থানায় নিয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সমঝোতার ভিত্তিতে সবাইকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, এর আগে গত ২৪ জুন নারী নির্যাতন মামলায় জামিন পান নোবেল।
আসিফ