
মাইলস্টোন কলেজ এলাকায় প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার পর উদ্ধার করে বহু আহত ও মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছে বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতালে। তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, একজন গুরুতর আহত রোগীর এখনো কোনো স্বজনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। রোগী মুমূর্ষু অবস্থায় আছেন এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত রেফার করা প্রয়োজন হলেও স্বজনের অভাবে তা সম্ভব হচ্ছে না।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত এক প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী বলেন, “ওই সময় আমরা ক্লাসে ছিলাম। হঠাৎ করে বিকট শব্দ শুনে বুঝতে পারিনি কী হয়েছে। পরে ওয়াশরুমে গিয়ে দেখি, বিমান এক্সিডেন্ট হয়েছে।”
দুর্ঘটনায় আহতদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু-কিশোর বয়সের শিক্ষার্থী। অনেকেই তাদের সন্তানদের খুঁজে পাচ্ছেন না। একজন কণ্ঠ রুদ্ধ অভিভাবক বলেন, “আমার বাচ্চা কোন ক্লাসে পড়ে, কেমন দেখতে—সব বলে দিয়েছি। প্লিজ আপনারা খুঁজে দিন। আমি অনেক খুঁজেছি। এখনও পাইনি।”
শিক্ষার্থীরা নিজেরা সংগঠিত হয়ে রক্ত সংগ্রহ, আহতদের সহায়তা এবং নিখোঁজ শিশুদের স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়ার কাজ করছেন।
একজন শিক্ষার্থী জানান, “আমরা নিজেরা রক্ত দিচ্ছি। যাদের রক্ত লাগছে, আমরা চেষ্টা করছি। কিন্তু অধিকাংশই মারা গেছে। আর কিছু আছে যারা হয়তো বেঁচে আছে, কিন্তু ওদের শরীর এমনভাবে পুড়ে গেছে যেন আলু সেদ্ধ বা কঙ্কাল হয়ে গেছে।”
বাংলাদেশ মেডিকেল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অনুরোধ জানিয়েছে, যদি কেউ তার স্বজনকে খুঁজে না পেয়ে থাকেন, তবে দ্রুত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করুন, যাতে আহত ব্যক্তিকে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হয়।
ঘটনার ভয়াবহতা এবং মানবিক বিপর্যয়ে ভেঙে পড়েছে স্বজনরা। হতাহতদের পরিচয় শনাক্তকরণ ও উদ্ধার তৎপরতা এখনও চলছে।
Jahan