ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২

স্মার্টফোনই এখন ভূমিকম্প সতর্কবার্তার উৎস: গুগলের নতুন প্রযুক্তি

প্রকাশিত: ২০:৫০, ২১ জুলাই ২০২৫

স্মার্টফোনই এখন ভূমিকম্প সতর্কবার্তার উৎস: গুগলের নতুন প্রযুক্তি

২০২১ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত গুগল বিশ্বের দুই বিলিয়নেরও বেশি অ্যান্ড্রয়েড ফোনের গতি-সংবেদক সেন্সর ব্যবহার করে গড়ে তুলেছে একটি বৈশ্বিক ভূমিকম্প সতর্কীকরণ নেটওয়ার্ক। এই প্রযুক্তি এখন পর্যন্ত ৯৮টি দেশে চালু হয়েছে এবং ১১,০০০-এর বেশি ভূমিকম্প সনাক্ত করেছে। স্মার্টফোনের মাধ্যমে গৃহীত কম্পনের ডেটা বিশ্লেষণ করে সতর্কতা পাঠানো হয়েছে কোটি কোটি মানুষের কাছে—প্রথাগত সিসমোমিটার ছাড়াই।

গুগলের গবেষণা প্রতিবেদন ‘সায়েন্স’ জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, যা এই প্রযুক্তির তিন বছরের কার্যকারিতা বিশ্লেষণ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, হাজার হাজার ফোনের সম্মিলিত ডেটা ব্যবহার করে অ্যালগরিদম ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ও মাত্রা নির্ধারণে কার্যকরভাবে কাজ করছে।

তবে প্রযুক্তির সীমাবদ্ধতাও রয়েছে। ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তুরস্কে ঘটে যাওয়া দুটি ধ্বংসাত্মক ভূমিকম্পে গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অ্যালার্ট সিস্টেম ৪.৫ মিলিয়ন ব্যবহারকারীকে সতর্ক করলেও তা যথেষ্ট জোরালো ছিল না। পরবর্তীতে উন্নত অ্যালগরিদম ব্যবহার করে বিশ্লেষণে দেখা যায়, আরও কার্যকর ‘Take Action’ বার্তা পাঠানো সম্ভব হতো, যা ১ কোটিরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছাত।

বিশেষজ্ঞরা এই উদ্যোগকে স্বাগত জানালেও গুগলের অ্যালগরিদম ও ডেটা ব্যবহারের স্বচ্ছতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ক্যালিফোর্নিয়া ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজির ভূকম্পবিজ্ঞানী অ্যালেন হাসকার বলেন, “এটা অত্যন্ত চিত্তাকর্ষক। অধিকাংশ দেশেই ভূমিকম্পের পূর্বসতর্কতা ব্যবস্থা নেই। এই প্রযুক্তি অনেকের জীবন বাঁচাতে পারে।”

গুগল বলছে, এটি সরকারি ও বৈজ্ঞানিক সংস্থাগুলোর পরিচালিত সিস্টেমের বিকল্প নয়, বরং একটি সহায়ক প্রযুক্তি হিসেবেই কাজ করবে।

Jahan

×