ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২

উলিপুরে সোনালী আঁশে স্বপ্ন দেখছেন চরাঞ্চলের কৃষকেরা

‎জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, উলিপুর, কুড়িগ্রাম

প্রকাশিত: ১৬:২৫, ২১ জুলাই ২০২৫

উলিপুরে সোনালী আঁশে স্বপ্ন দেখছেন চরাঞ্চলের কৃষকেরা

ছবি: জনকণ্ঠ

‎কুড়িগ্রামের উলিপুরে তিস্তার চরাঞ্চলে পাট কাটা ও জাগ দেওয়ার ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। এছাড়া তিস্তার চরাঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের চাষাবাদের মধ্যে পাট চাষ একটি অন্যতম অর্থকারী ফসলের চাষ। চরাঞ্চলের পাটের আঁশ দেখলে পাটকে যে সোনালী আঁশ বলা হয় তা মনে করিয়ে দেয়। পাটের ভাল ফলনে খুশি চরাঞ্চল সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ। যেদিকে চোখ যায় সেদিকে সবুজের সমারহ দেখা যায়। গত কয়েক বছর আগে চরাঞ্চলে পাটের চাষ কম হত। এখন ভাল ফলন ও বাজারে দাম ভালো থাকায় চরাঞ্চলে পাট চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে পাট চাষিদের।

‎উপজেলা কৃষি আফিস সূত্রে জানা যায়, এবারে উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্য মাত্রা ২ হাজার ৬'শ ৮০ হেক্টর। অর্জিত হয়েছে ২ হাজার ৫'শ ৩০ হেক্টর। উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১১ হাজার ৩'শ ৪০ মেট্রিকটন। ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক পাট চাষিদের বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। চাষিদের কৃষি অফিস থেকে বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দেয়া হয়েছে।

‎সরেজমিনে তিস্তা নদী বেষ্টিত বিভিন্ন ইউনিয়নে ভেসে উঠা চরাঞ্চল গুলোতে দেখা যায়, মাঠের পর মাঠ সোনালী আঁশ পাটের ক্ষেত। আর এ সোনালী আঁশকে ঘিরে স্বপ্ন দেখছেন চরাঞ্চলের চাষিরা। পাটগাছ পরিপক্ক হওয়ায় কাটা ও জাগ দিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চরাঞ্চলের কৃষকেরা। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার পাট চাষিরা পাট জাগ দেয়া নিয়ে চিন্তিত থাকলেও চরাঞ্চলের পাট চাষিদের জাগ দেয়া নিয়ে নেই কোন চিন্তা। গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় পাট জাগ দেওয়া ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা।

‎উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের জুয়ান সতরা চর এলাকার পাটচাষি নজরুল ইসলাম জানান, এবারে চরাঞ্চলে পাট চাষ করেছেন ৮০ শতক। পাট জাগ দেয়া পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে ১৬ হাজার টাকা। পাট ধুয়ে ঘরে আনা পর্যন্ত আরও খরচ হবে ৮ হাজার টাকা। মোট খরচ হবে প্রায় ২৪ হাজার টাকা। তিনি ১৬ মণ সোনালী আঁশের আশা করছেন । মণ প্রতি ৪ হাজার টাকা দরে বিক্রি করলেও মোট আয় হয় ৬৪ হাজার টাকা।

‎এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ মোশাররফ হোসেন জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবারে চরাঞ্চলে পাটের চাষ অনেক ভালো হয়েছে। প্রতি বছর চরাঞ্চলে পাটের ফলন ভালো হয়ে থাকে। উচুঁ এলাকায় পানি সংকটে পাট জাগ দেয়া সমস্যা দেখা দিলেও চরাঞ্চলে তেমন পানি সংকট নেই। পাটের বাজার ভালো থাকলে চাষিরা অনেক লাভবান হবে।

শিহাব

×