ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২১ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২

এবার বায়তুল মোকাররম মসজিদে জামায়াতের পরিচ্ছন্নতা অভিযান 

প্রকাশিত: ১৫:৫৪, ২১ জুলাই ২০২৫

এবার বায়তুল মোকাররম মসজিদে জামায়াতের পরিচ্ছন্নতা অভিযান 

ছবি: জনকণ্ঠ

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী আয়োজিত জাতীয় মহাসমাবেশ নির্ধারিত সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের আশেপাশের বিস্তীর্ণ এলাকায় ছাড়িয়ে যায়। যে কারণে মসজিদসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। এরই ধারাবাহিকতায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা করা হয়।

সোমবার (২১ জুলাই) সকালে পল্টন থানা জামায়াতের উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এসময় পল্টন, মতিঝিল, শাহবাগ ও রমনা (ঢাকা- ৮) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নায়েবে আমির ড. মোঃ হেলাল উদ্দিনের নেতৃত্বে অভিযানটি পরিচালিত হয়।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত জামায়াতের মহাসমাবেশে অংশ নিতে সারাদেশ থেকে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী সমবেত হন। সমাবেশ স্থান থেকে গুলিস্তান, পল্টন, কাকরাইল, বাংলামোটর, কাঁটাবন, নীলক্ষেত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা। প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পরিস্কার অভিযান এখনো অব্যাহত রয়েছে। 

হেলাল উদ্দিন জনকণ্ঠে জানান, সমাবেশের পর আমাদের সন্মানিত আমিরে জামায়াতের নির্দেশনায় এ অভিযান পরিচালনা করে আসছি। তিনি চিকিৎসা নিয়ে বাসায় পৌঁছার পর থেকে পরিস্কার অভিযানের প্রতি বিশেষ নজর রাখছেন। হেলাল উদ্দিন দেশবাসীর কাছে আহ্বান জানান সবাই যেন সম্মানিত আমীরে জামাতের জন্য দোয়া করেন আল্লাহ যেন তাকে পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করেন ।

হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ইমানের অঙ্গ। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে লক্ষ লক্ষ নেতাকর্মীর সমাগম হয়েছিল। এর একটি অংশ বায়তুল মোকাররম মসজিদেও অবস্থান নেয়। যে কারণে মসজিদের ভেতরের কিছু কিছু অংশে পরিস্কার করতে হয়েছে। 

তিনি জানান, জামায়াত ইসলামী মানুষের কল্যাণে ও সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন 
ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও পল্টন থানা আমির শাহীন আহমেদ খান। পল্টন মতিঝিল এলাকার সাবেক কাউন্সিলর খন্দকার আব্দুর রব ও এনামুল হক শাহীনসহ প্রায় শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক অংশ নেন।

জামায়াতের আমির ডা শফিকুর রহমানের সমাবেশের মূল ম্যাসেজ ছিল- আগামীর বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের আরেকটি লড়াই করতে হবে আর তা হলো দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই।  
চাঁদাবাজ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে। 

হেলাল উদ্দিন জানান, আমিরে জামায়াত সেই সঙ্গে ঢাকাবাসী ও দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর প্রথমবারের মতো এককভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় মহাসমাবেশের আয়োজন করেছে জামায়াত ইসলামী। স্বাধীনতা-উত্তর এই প্রথম সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করে জামায়াত। 

এই সমাবেশে তাদের মূল দাবি ছিলো অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সবার জন্য সমান সুযোগ তৈরি করা, মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, সংখ্যানুপাতিক (পিআর) পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রভৃতি।

আবির

×