
শেরপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) অফিসের চালকের ব্যক্তিগত প্রাইভেটকার থেকে ৩০২ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করেছে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ। এ সময় প্রাইভেটকার চালক পালিয়ে গেলেও বেশ কিছু কাগজপত্র এবং একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) দুপুরে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শিবিরুল ইসলাম এ সংক্রান্ত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গতকাল (১৬ জুলাই) বিকালে ময়মনসিংহ নগরীর শিকারীকান্দা মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে মদসহ এই প্রাইভেটকারটি আটক করে কোতোয়ালি মডেল থানা পুলিশ।
তিনি জানান, গোপন সংবাদে আমরা জানতে পারি একটি প্রাইভেটকারযোগে নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর সীমান্ত এলাকা থেকে মাদক আসছে। এ খবরে অভিযান পরিচালনা করে ময়মনসিংহ নগরীর শিকারীকান্দা মোড় সংলগ্ন এলাকা থেকে একটি সাদা প্রাইভেটকার আটক করে ১৩ বস্তা ভর্তি ৩০২ বোতল ভারতীয় বিদেশী মদ উদ্ধার করা হয়। এসব মদ রাজধানীর বিভিন্ন বারের নেওয়া হচ্ছিল বলে সূত্র জানিয়েছে।
ওসি আরও বলেন, এই প্রাইভেটকারের মালিক একজন সরকারি কর্মচারি (শেরপুর জেলা প্রশাসক অফিসের ড্রাইভার) বলে জানতে পেরেছি। এ ঘটনায় মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন। ঘটনার তদন্তের বিস্তারিত জানা যাবে।
শেরপুর হালকা মটরযান শ্রমিক ইউনিয়নের দপ্তর সম্পাদক মো. শফিকুল ইসলাম বাবু বলেন, এই প্রাইভেটকারের (ঢাকা মেট্রো-গ ২২-১১৮৯) মালিক মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি শেরপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) অফিসের একজন ড্রাইভার। গত ৭ থেকে ৮ মাস আগে তিনি এই প্রাইভেটকারটি স্থানীয় রিমা আক্তার নামক এক নারীর কাছ থেকে কিনেছেন। তবে এখনো মালিকানা হস্থান্তর হয়নি বলে আমরা শুনেছি। বর্তমানে এই প্রাইভেটকারটি শেরপুর সদর এলাকার উত্তর গৌরীপুরের বাসিন্দা খোকন ড্রাইভারের ছেলে মো. আকাশ মিয়া চালায় বলেই জানি।
তবে ঘটনার বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও শেরপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) অফিসের ড্রাইভার মো. শফিকুল ইসলাম এবং প্রাইভেটকার চালক মো. আকাশ মিয়ার ব্যক্তিগত মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে শেরপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, আমার অফিসে শফিক নামে একজন ড্রাইভার রয়েছে, তবে তার পুরো নাম শফিকুল ইসলাম কী-না, সেবিষয়টি আমার জানা নেই। তাছাড়া তার ব্যক্তিগত কোন প্রাইভেটকার আছেন কী-না, তাও জানা নেই।
আঁখি