
ছবি: জনকণ্ঠ
কারিগরি শিক্ষা ও প্রযুক্তিভিত্তিক দক্ষতা অর্জনের পথ সুগম করতে পিরোজপুর জেলার নেছারাবাদে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলো “স্বরূপকাঠি ডিজিটাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট”।
শনিবার বিকেলে ভর্তি কার্যক্রমের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে প্রতিষ্ঠানটির নিজস্ব অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় এক আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি একেএম মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্য সচিব মোঃ জাহিদুল ইসলাম (জাহিদ সোহেল) সঞ্চালনায়, প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নেছারাবাদ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, নেছারাবাদ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও পরিচালক আলহাজ্ব আলবেরুনী সৈকত, মোঃ জাকির হোসেন, মোঃ শামীম আহসান,মো: আখতার হোসেন, অন্যান্য পরিচালকবৃন্দ, শিক্ষক-কর্মচারী, অভিভাবক, শিক্ষার্থী, শিক্ষানুরাগী, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
আলোচনা সভার মূল প্রতিপাদ্য ছিল, “বেকারত্ব নিরসনে এসএসসি’র পরে পেশাভিত্তিক কারিগরি শিক্ষা ও পলিটেকনিকে ভর্তির গুরুত্ব”। বক্তারা বলেন, দেশে ক্রমবর্ধমান শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা উদ্বেগজনক। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ হচ্ছে বাস্তবভিত্তিক, কর্মমুখী শিক্ষা।
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড অনুমোদিত এই প্রতিষ্ঠানটি ২০২৫ সাল থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে। মূল লক্ষ্য দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিযোগিতা সক্ষম পেশাজীবী তৈরি।
প্রতিষ্ঠানটি কম্পিউটার, ইলেকট্রিক্যাল, সিভিল এবং অটোমোবাইলসহ বিভিন্ন বিভাগে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চালু করেছে, যেখানে পাঠদান করছেন অভিজ্ঞ ও প্রযুক্তিনির্ভর প্রশিক্ষকরা। রয়েছে আধুনিক ল্যাব, ডিজিটাল ক্লাসরুম ও হাতে-কলমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা।
প্রধান অতিথি জনাব জাহিদুল ইসলাম বলেন, “দেশ এখন শিল্পভিত্তিক অর্থনীতির দিকে এগোচ্ছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি পরিচালনায় দক্ষ কারিগরি জনবল তৈরিতে এই প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” তিনি আরও বলেন, “এই উদ্যোগ স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে উন্নয়নে সহায়ক হবে।”
সভাপতি একেএম মিজানুর রহমান বলেন, “আমরা এমন এক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চাই, যা শুধু সার্টিফিকেট নয়, কর্মদক্ষতা অর্জনের একটি মঞ্চ হয়ে উঠবে। শিক্ষার্থীরা যেন নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে, অন্যকেও চাকরি দিতে পারে এটাই আমাদের স্বপ্ন।” স্থানীয় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা এই প্রতিষ্ঠানকে দক্ষিণাঞ্চলের জন্য একটি “নতুন আশার আলো” হিসেবে দেখছেন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় নৃত্য, আবৃত্তি, সংগীত ও নাটক। যার মধ্য দিয়ে একটি আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয় এবং অনুষ্ঠানটি হয়ে ওঠে এক প্রাণবন্ত মিলনমেলা।
শহীদ