
রাজধানীর চকবাজারে পাথর নিক্ষেপ করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয় লাল চাঁদ ওরফে সোহাগ নামে এক ব্যবসায়ীকে। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ডেমরা, যাত্রাবাড়ী ও কদমতলী এলাকার বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন একত্রিত হয়ে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
১২ জুলাই (শনিবার) বিকাল সাড়ে ৪টায় যাত্রাবাড়ী জুলাই চত্বরে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু হয়। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় জুলাই চত্বরে এসে শেষ হয়। সমাবেশ ও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন শত শত মানুষ।বিক্ষোভে নেতৃত্ব দেন মাতৃভূমি সামাজিক সংগঠনের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হাজী মো. ইব্রাহিম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আধার প্রদ্বীপ ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা আলহাজ্ব এমদাদুল ফেরদৌস, ইউথ সার্কেল ঢাকা মহানগর পূর্বের সভাপতি মাইনুল ইসলাম, আলো সামাজিক সংগঠনের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন, নওজোয়ান সামাজিক সংগঠনের সাবেক সভাপতি শাহেদ সজল, মুসলিমনগর ওয়েলফেয়ার সোসাইটির প্রতিনিধি কেফায়েত উল্লাহ, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি ইউসুফ ও ইয়াসিন আহমাদ এবং বৈষম্য বিরোধী কওমী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি মাসুদসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
বিক্ষোভ-পরবর্তী সমাবেশে বক্তারা বলেন, লাল চাঁদ ওরফে সোহাগের নির্মম হত্যাকাণ্ড এই রাষ্ট্রের লাগামহীন নৈরাজ্য, প্রশাসনিক ব্যর্থতা ও রাজনৈতিক অবক্ষয়ের প্রতিচ্ছবি। একজন নিরীহ ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পাথর নিক্ষেপ করে উলঙ্গ করে হত্যা করা হয়েছে—যা গণতন্ত্রের চরম অবমাননা এবং রাষ্ট্রীয় নৈতিকতার করুণ পরাজয়।
তারা অভিযোগ করেন, একটি সুশৃঙ্খল চক্র দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে এলাকায় চাঁদাবাজি, দখল, খুন ও সন্ত্রাস চালিয়ে আসছে। অথচ প্রশাসন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে। বক্তারা বলেন, এ হত্যাকাণ্ড বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা নয়—বরং এটি শক্তির দাপট, প্রশাসনিক নিষ্ক্রিয়তা ও রাষ্ট্রীয় ব্যর্থতার প্রতিফলন।
সমাবেশ থেকে সোহাগ হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত, খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, এই হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে—কারণ আজ সোহাগ, কাল হতে পারে আমাদের কেউ।
সমাবেশ শেষে সোহাগের আত্মার মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মুনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।
রাজু