
ছবি: সংগৃহীত
গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে রমজান (রাব্বি) মোল্লা (১৫) নামের এক স্কুলছাত্রের বিরুদ্ধে সাজানো ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে মামলা দায়েরের অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগী পরিবার দাবি করেছে, মামলার আগে কোনো তদন্ত হয়নি। ঘটনাটি ঘটেছে কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা ইউনিয়নের দক্ষিণ ফুকরা গ্রামে।
শিশুটির বাবা রবিউল মোল্লা জানান, “গত ৮ মাস ধরে সাড়ে ৪ শতাংশ জমি নিয়ে প্রতিবেশী আনিছ মোল্লার সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলছিল। গত মঙ্গলবার (৮ জুলাই) ওই জমির ওপর দিয়ে ডিশ লাইনের তার নেওয়াকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরদিন বুধবার আবারও জমির বাঁশ কাটাকে কেন্দ্র করে বাকবিতণ্ডা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আনিছ মোল্লা তার স্ত্রী তানিয়া বেগমকে দিয়ে বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া তাদের মেয়ে শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে আমার ছেলে, অষ্টম শ্রেণির ছাত্র রমজানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন।”
রবিউল মোল্লা আরও জানান, “অভিযোগ দায়েরের দিনই দুপুরে কোনো তদন্ত ছাড়াই পুলিশ আমাদের বাড়ি থেকে রমজানকে ধরে নিয়ে যায়। একই দিন মামলা দায়ের করে পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাকে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়। বর্তমানে সে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে রয়েছে।”
এ বিষয়ে মামলার দুই নম্বর সাক্ষী ও বাদীর সবচেয়ে কাছের প্রতিবেশী বেলি বেগম বলেন, “আমি মামলার ঘটনা কিংবা সাক্ষী হওয়ার বিষয় কিছুই জানি না। আমার নাম কে যুক্ত করল, তাও জানি না।”
এলাকাবাসীর ভাষ্যমতে, ধর্ষণ বা ধর্ষণচেষ্টার কোনো ঘটনাই ঘটেনি। দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ ছিল। এটি সম্পূর্ণ সাজানো ও মিথ্যা মামলা। স্থানীয়দের ধারণা, গ্রাম্য দলাদলি এবং থানার এক প্রভাবশালী কর্মকর্তার সুপারিশে এই মামলা হয়েছে।
মামলার বাদী তানিয়া বেগমের মোবাইল নম্বরে ফোন দিলে তার স্বামী আনিছ মোল্লা রিসিভ করে বলেন, “এ বিষয়ে আমি কথা বলতে চাই না। এলাকাবাসী যা বলে, আপনি তাই লিখুন। প্রয়োজন হলে থানায় গিয়ে জেনে নিন।”
কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। তদন্ত হবে—মিথ্যা প্রমাণিত হলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেই মামলা গ্রহণ করা হয়েছে।”
আসিফ