
ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত ঐতিহ্যবাহী সোহরাওয়ার্দী কলেজ। এই কলেজের পূর্ব পাশে দাঁড়িয়ে আছে একটি প্রাচীন নিমগাছ, যে গাছটি নিঃশব্দে বহন করছে সময়ের নানা ইতিহাস, পরিবেশের ভারসাম্য আর ছাত্রজীবনের স্মৃতি।
দর্শনার্থী কিংবা কলেজের শিক্ষার্থীরা যেই পথেই হাঁটুন না কেন, এই গাছটির পাশে এলেই এক ধরণের প্রশান্তি অনুভব করেন। গ্রীষ্মের তাপদাহে নিমগাছের ছায়া হয়ে ওঠে স্বস্তির ছোঁয়া। বহু শিক্ষার্থী এই গাছের নিচে বসে কাটিয়েছেন ক্লাসের ফাঁকা সময়, কেউ করেছেন পাঠচর্চা, কেউ আবার নিঃশব্দে গড়েছেন বন্ধুত্ব।
এই নিমগাছ শুধু পরিবেশের জন্যই উপকারী নয়, বরং এটি হয়ে উঠেছে সোহরাওয়ার্দী কলেজের একটি সময় কাটানোর জায়গা যা শিক্ষার্থীরা করে থাকে। প্রাকৃতিক ঔষধি গুণের জন্য নিমগাছ যেমন পরিচিত, তেমনি এটি দূষণ রোধেও রাখছে অমূল্য ভূমিকা।
শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম বলেন"এই গাছটা যেন কলেজের একটা আপনজন। প্রতিদিন যাই আসি, এই গাছের নিচে একটু দাঁড়িয়ে থাকি। অনেক দিন ধরেই তো দেখছি একে—একধরনের আত্মীয়তার সম্পর্ক তৈরি হয়ে গেছে।
প্রাকৃতিক এই সম্পদটি সংরক্ষণ করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। কারণ এই গাছ শুধু একটি গাছ নয়—এটি পরিবেশ, ভালোবাসা আর এক টুকরো সবুজ আশ্রয়ের প্রতীক।
সোহরাওয়ার্দী কলেজের এই প্রাচীন নিমগাছ যেন বহু বছর ধরে এভাবেই নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে থাকে, প্রজন্মের পর প্রজন্মকে ছায়া দিয়ে, প্রকৃতির সঙ্গে আমাদের বন্ধনকে গভীর করে।
Jahan