ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ৩১ জুলাই ২০২৫, ১৫ শ্রাবণ ১৪৩২

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি

যারা অন্যায়-অত্যাচার করেছে, অর্থ-সম্পদ লুণ্ঠন করেছে তাদের নামে মামলা হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥

প্রকাশিত: ২১:০০, ১০ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২১:০২, ১০ জুলাই ২০২৫

যারা অন্যায়-অত্যাচার করেছে, অর্থ-সম্পদ লুণ্ঠন করেছে তাদের নামে মামলা হয়েছে

ছবি: দৈনিক জনকণ্ঠ

কেন্দ্রীয় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের বিএনপি দলীয় সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, আমরা ষোল বছর আমাদের বাড়িতে পরিবার-পরিজনের সাথে বসবাস করতে পারিনি। হয় কেউ জেলে ছিলাম, না হয় কেউ পলাতক ছিলাম, না হয় কেউ আদালতের বারেন্দায় ছিলাম। কিন্তু আমরা কেউ দেশ থেকে পালিয়ে যাইনি। এখন যারা অন্যায়, অত্যাচার করেছে, অর্থ-সম্পদ লুণ্ঠন করেছে তাদের নামে মামলা হয়েছে। শেখ হাসিনা, তার পরিবার-পরিজন বংশধরসহ, তার মন্ত্রী পরিষদ, এমপি, তার নেতা-পাতিনাতি ও গ্রাম-গঞ্জের পাতিনেতা পর্যন্ত পালিয়ে গেছে। আমরাতো পালিয়ে যায়নি।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল তাজ জুট মিলস সংলগ্ন এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি’র সিদ্ধিরগঞ্জ থানা শাখার ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি’র  উদ্যোগে সদস্য নবায়ন ও প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল হোসেনের সভাপতিত্বে ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আইয়ুব আলী মুন্সীর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-  সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মো. মাজেদুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি আব্দুল হাই রাজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম হালিম জুয়েল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সহ-সভাপতি ও নাসিকের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জি. এম সাদরিল, সহ-সভাপতি ডি. এইচ বাবুল, সহ-সভাপতি এস এম আসলাম, সহ-সভাপতি মো. মোস্তফা কামাল ও নারায়ণগঞ্জ জেলা তরুণ দলের সভাপতি টি এইচ তোফা প্রমুখ। 

মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, ৫ আগস্টের পরে দেশবাসীর মনের নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। দেশবাসী এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে কিছু প্রত্যাশা করে। কি প্রত্যাশা করে। যারা হত্যা, নির্যাতন, জুলুম করেছে, দেশের অর্থ সম্পদ লুণ্ঠন করেছে, চুরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করুক এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, এটা জনগণ প্রত্যাশা করে। তিনি বলেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিছু কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এতে রাষ্ট্রের মানুষ আমরা সন্তুষ্ট হতে পারছি না। এ জন্য হাজার হাজার মামলা, এই মামলা আরো দ্রুত হওয়ার কথা, ত্বরান্বিত হওয়ার কথা। আমরা বলি এ মামলা আমাদের মামলার সাথে তুলনা করলে আপানারা দেখতে পারবেন, স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা যখন ছিল আমাদের নামে হাজার হাজার মিথ্যা মামলা করেছে।

তিনি বলেন, প্রশাসনের কাছে আমাদের এই দাবি, যারা অন্যায় করেছে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করেন। আর যারা নিরপরাধ ছিল মামলায় আসামি করা হয়েছে। দ্রুত আপনারা তদন্ত করে যারা দোষী না তাদেরকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন। কারণ আমরা জানি যারা পলাতক থাকে তাদের কি কষ্ট ও আর তাদের পরিবার-পরিজনের কি কষ্ট। আওয়ামী লীগের যারা অপরাধ করেনি তারা পলাতক থাকবে তাদের পরিবার কষ্ট করছে, সেই জন্য তাড়াতাড়ি মামলাগুলো তদন্ত করে যাদেরকে অন্যায়ভাবে আসামি করা হয়েছে তাদেরকে বাদ দিয়ে যারা অপরাধ করেছে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা আজকের বাংলাদেশের মানুষ দেখতে চায়। বিএনপি প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না। আমিও প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। আমাদের পাশে যারা আছে তারাও প্রতিহিংসার রাজনীতি করে না।

ফারুক

×