
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের টঙ্গী পূর্ব থানাধীন ওয়েগা ফ্যাশন লিমিটেডের পার্শ্ববর্তী ২২.৭৫ শতাংশ জমি জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে ভূমিদস্যু মেজবাহ উদ্দিন আলী। এবং পেশি শক্তির বলে জোরপূর্বক জমির চারিদিক দিয়ে বাউন্ডারি দিয়ে দেয়। আম-মোক্তার নামা দলিলে জমির বর্তমান মালিক মোঃ মজিবুর রহমান জনকণ্ঠকে বলেন, আমি আমার জমি দখল মুক্ত করতে গেলে আলী তার নিজস্ব সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার উপর হামলা করে। হামলায় আমি সহ আমার পরিবারের সদস্যরা আহত হই। এখনো বিভিন্ন লোকজনের মাধ্যমে আমাকে বিভিন্ন সময় প্রাণ নাশের হুমকি প্রদান করে আসছে। আলী এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনীর ভয়ে আমি আমার জমিতে যেতে পারছি না।
স্থানীয় বাসিন্দা মাসুদ রানা জনকণ্ঠকে বলেন, মেজবাহ উদ্দিন আলী তার পেশি শক্তি ব্যবহার করে অনেকেরই জমি দখল করে রেখেছেন এবং যদি জমির প্রকৃত মালিকগণ প্রতিবাদ করতে যায় তাহলে তিনি তাদের উপরে চড়াও হন এবং অনেক সময় হত্যার হুমকিও দিয়ে থাকেন।
অন্য আরেক স্থানীয় বাসিন্দা শাহিন মিয়া জনকণ্ঠকে জানান, মেজবাহ উদ্দিন আলী খুবই ভয়ংকর একজন ব্যক্তি, তার নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী রয়েছে। তিনি ওই ক্যাডার বাহিনী ব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তির জমি দখল করা থেকে শুরু করে স্থানীয় আধিপত্য বজায় রাখেন। তার ভয়ে তার বিরুদ্ধে এলাকার কেউ কখনো মুখ খুলতে সাহস করে না। শিল্পপতি হওয়ার কারণে তিনি টাকা দিয়ে প্রশাসন এবং স্থানীয় নেতাদেরকে ম্যানেজ করে চলেন।
টঙ্গী পৌর ভূমি অফিসের রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুল আলিম জনকণ্ঠকে বলেন, এই জমির দাগ এবং খতিয়ানে কোন প্রকার সরকারি খাস জায়গা নেই এবং এই জমি মোতালেব গং এবং বজলুল হক গংয়ের নামে রয়েছে। এই জমিতে অন্য যেকোনো ব্যক্তির দখল অবৈধ এবং আইনবিরোধী।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালের পহেলা জুলাই মোঃ সাদাত আলী ভূঁইয়া ক্রয় সূত্রে ৯৩৭৪ নাম্বার দলিলে ৩০ শতাংশ জমির মালিক হয় এবং ১৬ ডিসেম্বর ১৯৪৭ ইং তারিখে ১২৩৭৩ নাম্বার দলিলে ৩০ শতাংশ জমির মালিক হয়। ২ টি দলিলে মোট ৬০ শতাংশ জমির মালিক হন মোঃ সাদাত আলী ভূঁইয়া। পরবর্তীতে ১৯ শে জুন ১৯৭৮ তারিখে ৫৬৩৬ নাম্বার পার্টিশন দলিলে ওমর আলীকে ২৩.২৫ শতাংশ, বজলুল হক গং এবং মোতালেব গং ওয়ারিশ সূত্রে ১৩৭১৪ এবং ১২৪০৭ দুইটি জোতে মালিক হয়। আর এস ৭০১ খতিয়ানে দত্তপাড়া মৌজায় ২২.৭৫ শতাংশ নাম জারি হয়।
১১ অক্টোবর ২০১১ ইং তারিখে টঙ্গী সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ২২২০৪ নং আম-মুক্তার নামা দলিলে জমির মালিক হন মোঃ মজিবুর রহমান। জমির দাতাপক্ষ সাদাত আলীর ছেলে-মেয়ে গং।
রিফাত