ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০১ আগস্ট ২০২৫, ১৭ শ্রাবণ ১৪৩২

জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র ছাড়া বিকল্প কিছু মেনে নেবে না জনতা: সাইফুদ্দিন আহমেদ খন্দকার

ইসমাঈল হোসাইন, উত্তরা, ঢাকা

প্রকাশিত: ১৯:১৬, ৩১ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৯:১৮, ৩১ জুলাই ২০২৫

জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র ছাড়া বিকল্প কিছু মেনে নেবে না জনতা: সাইফুদ্দিন আহমেদ খন্দকার

“জুলাইয়ের ঘোষণাপত্র অবশ্যই হতে হবে—এর বিকল্প কোনো কিছু জনগণ ও ছাত্রজনতা মেনে নেবে না।”
এমন হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন খেলাফত মজলিসের ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি ও ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী সাইফুদ্দিন আহমেদ খন্দকার।

তিনি বলেন, “৫ আগস্ট বিজয়ের দিন হলেও আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল জুলাইতে। সেই থেকেই এ আন্দোলনকে ‘জুলাই বিপ্লব’ নামে আখ্যায়িত করা হয়েছে। এটা ছিল বাংলাদেশের এক অনিবার্য বাস্তবতা। ছাত্রদের হাত ধরে শুরু হলেও দ্রুতই তা জনতার সর্বস্তরের আন্দোলনে রূপ নেয়—শিক্ষক, রাজনীতিক, প্রবীণ, অভিভাবক—সবাই এই গণজাগরণে অংশ নেন।”

তিনি দাবি করেন, “এই আন্দোলন কেবল কোটা সংস্কারের নয়, বরং বঞ্চিত জনগণের মুক্তির সংগ্রাম। দেড় হাজারের বেশি শিক্ষার্থী এই আন্দোলনে জীবন দিয়েছেন। তাই এ সংগ্রামের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্র এখন সকলের অধিকার—কেবল ছাত্রদের নয়।”

"ঘোষণাপত্রে বিলম্ব অযৌক্তিক, উদ্দেশ্যমূলক কিনা দেখা দরকার"

জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র এখনো না হওয়াকে “সন্দেহজনক” উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিলম্বের পেছনে কারো তুষ্টি বা গোপন উদ্দেশ্য আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখা জরুরি। আমরা মনে করি, ৫ আগস্টের আগেই ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে হবে।”

আদর্শ বাংলাদেশ গঠনের প্রত্যাশা

আগামী দিনের বাংলাদেশ প্রসঙ্গে খন্দকার বলেন, “এমন একটি বাংলাদেশ চাই, যেখানে জনগণের বাকস্বাধীনতা থাকবে, গুম-খুন থাকবে না, বিচারব্যবস্থা হবে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ। ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ ও ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থান একই সূত্রে গাঁথা। এই রক্তের দাম যেন বৃথা না যায়, সেই বাংলাদেশ দেখতে চাই।”

রাজনীতিতে স্বচ্ছতা ও জনগণের পাশে থাকার অঙ্গীকার

নিজেকে একজন দায়িত্বশীল রাজনীতিবিদ হিসেবে উল্লেখ করে খন্দকার বলেন, “আজ রাজনীতিতে গণতন্ত্র নেই। রাজনীতিবিদদের মধ্যেও নেই জবাবদিহিতা। তাই আমাদের রাজনৈতিক চর্চা হতে হবে স্বচ্ছ, মানুষের কল্যাণে নিবেদিত। বেকার যুবক, দরিদ্র অসহায় মানুষ, ঝরে পড়া শিক্ষার্থী, ছিন্নমূল শিশু—সবাই যেন রাষ্ট্রের সেবা পায়।”

তিনি আরও বলেন, “আমরা কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখি। সুষ্ঠু শিক্ষাব্যবস্থা, মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা, ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি মানুষ যেন সম্মান ও ন্যায্যতা পায়—সেটাই আমাদের রাজনৈতিক লক্ষ্য।”

সানজানা

×