ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

ইবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও কুপ্রস্তাবের অভিযোগ, স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি শিক্ষার্থীদের

সংগীত কুমার, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশিত: ২২:৪০, ২ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২২:৪৩, ২ জুলাই ২০২৫

ইবি শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও কুপ্রস্তাবের অভিযোগ, স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি শিক্ষার্থীদের

ছবিঃ সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আজিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তদন্তপূর্বক স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২ জুলাই) বিকেলে বিভাগের প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর স্বাক্ষরসহ একটি লিখিত অভিযোগপত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বরাবর জমা দেওয়া হয়। এতে পেশাগত অসদাচরণ, নৈতিকতা লঙ্ঘন, যৌন হয়রানি এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের সাতটি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরা হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের দাবি, অভিযুক্ত শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে ছাত্রীদের পোশাক ও শারীরিক গঠন নিয়ে অশালীন মন্তব্য করে আসছিলেন। ক্লাসে কুরুচিপূর্ণ ও ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার পাশাপাশি হোয়াটসঅ্যাপ, মেসেঞ্জার ও ইমোতে ভিডিও কলে চাপ প্রয়োগ করতেন। কেউ সাড়া না দিলে পরীক্ষার রেজাল্টে প্রভাব ফেলার হুমকি দিতেন বলেও অভিযোগে উল্লেখ রয়েছে।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ছুটির দিনেও তিনি ছাত্রীদের ব্যক্তিগত কক্ষে ডেকে নেওয়া, ক্যাম্পাসের বাইরে দেখা করার প্রস্তাব, আর্থিক প্রলোভন এবং সম্পর্কের বিনিময়ে পরীক্ষায় ভালো নম্বর দেওয়ার আশ্বাস দিতেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, “রিটেক থাকায় একবার আমাকে কক্ষে ডেকে নেন। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে শরীর নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন। আমরা তার স্থায়ী বহিষ্কার চাই।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বলেন, “আমি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকেও বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, একজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার নৈতিক ভিত্তিকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। বিষয়টি দ্রুত ও নিরপেক্ষভাবে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।

বর্তমানে অভিযুক্ত শিক্ষককে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, স্থায়ী বহিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

আলীম

×