
ছবি: সংগৃহীত
বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেছেন, যারা একাত্তরে এ দেশের স্বাধীনতাকামী মানুষের বুকে গুলি চালিয়েছিল, মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করেছিল, আজ তারাই গণতন্ত্রের কথা বলছে। এই গণতন্ত্র হত্যাকারীদের হাতে বাংলাদেশ কখনোই নিরাপদ নয়।
বুধবার (২ জুন) বিকেলে বগুড়ার শেরপুরে জেলাপরিষদ অডিটোরিয়ামে পৌর বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদ নবায়ন ও নতুন সদস্য অন্তর্ভুক্তি কর্মসূচির শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে ১৬ বছর ধরে ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা আর মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। এই দীর্ঘ আন্দোলনে বিএনপির হাজারো নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, অনেকে খুন ও গুম হয়েছেন। পুলিশি হয়রানিতে বহু নেতা মাসের পর মাস বাড়ি ছাড়া ছিলেন। তবুও আমাদের সাহস কেউ ভাঙতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, এ দেশের ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট হাসিনার পতন ঘটেছে। এই সফলতা কোনো এক মাসের আন্দোলনের ফসল নয়। যারা আজ আন্দোলনের কৃতিত্ব একা দাবি করছে, তারা আসলে জনগণকে অসম্মান করছে। হাসিনার পতন জনগণের দীর্ঘদিনের সাহসী লড়াইয়েরই ফল।
তিনি বিএনপির নবায়ন কার্যক্রমের কথা তুলে ধরে বলেন, বিএনপি সারা দেশে নতুন সদস্য সংগ্রহ ও সদস্যপদ নবায়নের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এতে গণতন্ত্রকামী মানুষ নতুন করে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হবেন। বিশেষ করে দেশের তারুণ্য ও যুবসমাজকে সঙ্গে নিয়ে আমরা গণতন্ত্রের নতুন সূর্যোদয় ঘটাবো।
এসময় তিনি সরকারি দমন-পীড়নের প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, একটি চক্র এখনো দেশে গণতন্ত্র বিনাশী চক্রান্তে লিপ্ত। বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র এখনো বন্ধ হয়নি। তবে যত বাধাই আসুক, মানুষকে নিয়ে আমরা এ দেশের গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধার করবোই।
অনুষ্ঠানে শেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি স্বাধীন কুমার কুন্ডুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ জুয়েলের সঞ্চালনায় জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান অতিথি।
এসময় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য কে এম মাহবুবুর রহমান হারেজ, বগুড়া জেলা বাস-মিনিবাস কোচ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, সহ-সভাপতি মাফতুন আহমেদ খান রুবেল, এ কে এম তৌহিদুল আলম মামুন, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ-উন-নবী সালাম, কে এম খায়রুল বাশার, মো. জাহিদুল ইসলাম হেলাল, শেরপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক, নির্বাহী সদস্য আলহাজ্ব শাহ আলম পান্না, হাসানুল মারুফ শিমুল, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শাহীন প্রমুখ।
ফারুক