ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

ড.মাসুদের সার্বিক সহযোগিতায় চোখের আলো ফিরে পেলেন বাউফলের জব্বার ও ডালিয়া!

প্রকাশিত: ২০:৩৪, ২ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২০:৩৫, ২ জুলাই ২০২৫

ড.মাসুদের সার্বিক সহযোগিতায় চোখের আলো ফিরে পেলেন বাউফলের জব্বার ও ডালিয়া!

পটুয়াখালীর বাউফলের কাঁছিপাড়া ইউনিয়নের আব্দুল জব্বার (৫৫)। তিনি দুই চোখের ছানি নিয়ে দীর্ঘদিন অসুস্থতায় ভুগছিলেন।টাকার অভাবে নিজের শরীরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দুটি অঙ্গ চোখের চিকিৎসা বন্ধ ছিল আব্দুল জব্বারের। তার প্রিয় মানুষ, আত্মীয়-স্বজন,পরিবার-পরিজন সবাইকে নিজ চোখে দেখতে পারা ছিল প্রায় অসম্ভব।

এছাড়া বাউফলের নাজিরপুর ইউনিয়নের কচুয়া গ্রামের ডালিয়া আক্তারেরও (৩৫) চোখে ছানি পড়েছে। ডাক্তারি ভাষায় যাকে বলা হয় চোখের ইভিআইটিস।তারও সমস্যা প্রায় আব্দুল জব্বারের মত। চোখে অস্পষ্ট দেখেন এবং অর্থাভাবে চোখের অপারেশন করতে পারছিলেন না ডালিয়া।

আজ ২ জুলাই (বুধবার) বাউফল উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান ডক্টর শফিকুল ইসলাম মাসুদের সার্বিক সহযোগিতায় এবং একান্ত প্রচেষ্টায় আব্দুল জব্বার ও ডালিয়া আক্তারের চোখে সফল ছানি অপারেশন হয়েছে।রাজধানীর প্রথম সারির প্রাইভেট হসপিটাল ইবনে সিনায় এই সফল অপারেশন করেন প্রখ্যাত চক্ষু বিশেষজ্ঞ সহকারী অধ্যাপক ডা.জাকিয়া ফারহানা।

এখানেই শেষ নয়, চোখের জটিলতায় ভোগা আব্দুল জব্বার ও ডালিয়া আক্তারের সফল অপারেশন পরবর্তী ঔষধ থেকে শুরু করে যাবতীয় খরচ বহন করার দায়িত্ব নিয়েছেন বাউফল উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান ও বাউফল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

এ বিষয়ে কথা হয় আব্দুল জব্বারের সাথে। তিনি বলেন, আমার চোখের আলো ফিরিয়ে দেয়ায় আমি ও আমার পরিবার ড. মাসুদ স্যারের প্রতি আজন্ম কৃতজ্ঞ থাকব। তার জন্য নামাজ পড়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করব। আমি আগে চোখে কম এবং অস্পষ্ট দেখতাম। কিন্তু এখন অপারেশনের পরে আগের চেয়ে বেশি দেখতেছি।আলহামদুলিল্লাহ।

এ বিষয় ডালিয়া আক্তার বলেন, আমার চোখে দীর্ঘদিন যাবত সমস্যা ছিল। টাকার অভাবে চোখের ডাক্তার দেখাতে পারিনি। অপারেশন তো অনেক দূরের কথা। কিন্তু ডঃ মাসুদ স্যারের স্মরণাপন্ন হওয়ার পরে ডাক্তার দেখানো থেকে শুরু করে পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং একটি সফল চোখের অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। এখন আমি চোখে স্পষ্ট দেখতে পারি। মহান আল্লাহর দরবারে মাসুদ স্যার ও তার পরিবারের জন্য দোয়া থাকবে।

আফরোজা

×