ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৩ জুলাই ২০২৫, ১৯ আষাঢ় ১৪৩২

কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে হোটেল ব্যবসার আড়ালে ভয়াবহ মাদক ব্যবসা

মীর শাহ আলম, কুমিল্লা।।  

প্রকাশিত: ১৮:৪২, ২ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ১৮:৪৩, ২ জুলাই ২০২৫

কুমিল্লায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে হোটেল ব্যবসার আড়ালে ভয়াবহ মাদক ব্যবসা

ছবি: সংগৃহীত।

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে হোটেল ব্যবসার আড়ালে মাদক ব্যবসায় জড়িত থাকার অভিযোগে হাইওয়ে পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করে। মাদক সেবন ও বিক্রির দায়ে পরবর্তীতে মোবাইল কোটের মাধ্যমে তাদেরকে জেল জরিমানা সাজা দেওয়া হয়। বুধবার (০২ জুন) এসব তথ্য জানান মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ শাহাব উদ্দিন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, সম্প্রতি কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দু'পাশে অসংখ্য হোটেল রেস্তোরাঁ গড়ে  উঠেছে। এসব হোটেলে যাত্রা বিরতির নামে অসংখ্য ট্রাকসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন দাঁড়ায়। এ সময় ট্রাকের হেল্পার-চালক স্থানীয় মাদক ব্যবসায়ীদের থেকে ইয়াবা, গাঁজা ক্রয় করে সেবন করে। এছাড়া সীমান্ত এলাকা থেকে গাজার বড় ধরনের চালান সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক কারবারীরা পাচার করে থাকে।

এরই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার গভীর রাতে মিয়া বাজার হাইওয়ে থানার ওসি মোঃ শাহাব উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ চৌদ্দগ্রামের সৈয়দপুর প্রকাশ বাবুর্চি এলাকায় কয়েকটি হোটেলে অভিযান চালায়। এ সময় পুলিশ মাদক বিক্রির দায়ে ভূইয়া হোটেলের সামনে হতে মাদক বিক্রেতা মোঃ ইউসুফ (২৬),  পিতা- মোঃ আবুল কাসেম,  সাং- বসুমারা,  পোঃ নালঘর, থানা- চৌদ্দগ্রাম,  জেলা- কুমিল্লাকে প্রথমে গ্রেফতার  করে।

পরে মাদক সেবন ও ক্রয়ের দায়ে  ট্রাকচালক মোঃ জামাল হোসেন (২৬) পিতা- আবুল সরকার সাং-চাইলো গেইট থানা- সিদ্ধিরগঞ্জ জেলা- নারায়ণগঞ্জ ও অপর ট্রাক চালক  মোঃ জাহিদ পিতা- আলী হোসেন  সাং- শিবু মার্কেট  থানা- সিদ্ধিরগঞ্জ জেলা- নারায়নগঞ্জ কে গ্রেফতার করে।

পরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জামাল আহমেদ ভূইয়া  মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) সারনী ২১ মোতাবেক বিক্রেতা মো.ইউসুফ কে ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও নগদ ১০০০ টাকা  জরিমানা প্রদান করেন এবং ক্রেতাদ্বয় জামাল হোসেন ও জাহিদ কে ০৩ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও নগদ ৫০০ টাকা করে জরিমানা প্রদান করেন। জব্দকৃত গাজা উপস্থিত জনগন ও সাক্ষীদের উপস্থিতিতে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করেন। পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহনের জন্য গ্রেফতারকৃত ও সাজাপ্রাপ্ত আসামীগনকে চৌদ্দগ্রাম থানার নিকট বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

সায়মা ইসলাম

×