
ছবি: সংগৃহীত
নদীর পুরাতন বেড়িবাঁধের মাটি কেটে সিমেন্ট ও মাছের খাদ্যের বস্তায় মাটি ভরে পাশেই নতুন বাঁধ নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে সিলেটের জকিগঞ্জে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে কুশিয়ারা নদীর ভাঙন রোধে চলমান জরুরি মেরামত প্রকল্পে এমন অনিয়মে ক্ষোভ জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
জানা গেছে, জকিগঞ্জ উপজেলার রারাই, বাখরশাল ও খলাছড়া ইউনিয়নের পশ্চিম লোহারমহল এলাকায় নদীর পুরোনো বেড়িবাঁধ কেটে তার মাটি দিয়েই সামান্য দূরে নতুন বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। এসব মাটি সিমেন্ট ও মাছের খাদ্যের বস্তায় ভরে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এছাড়া অনুমতি ছাড়াই বাঁধসংলগ্ন এলাকার গাছ ও বাঁশ কেটে কাজ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ উঠে।
এ বিষয়ে প্রতিবাদ করলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার স্থানীয়দের হুমকি দিচ্ছেন এবং কাজ বন্ধ রেখে লোকজন না পাঠানোর অভিযোগও করেছেন বাসিন্দারা।
মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জনদাবী আদায় পরিষদ, জকিগঞ্জ, সিলেট-এর নেতৃবৃন্দ। সংগঠনটির সভাপতি ও জকিগঞ্জ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি আবুল হাসান বলেন, “সদর ইউনিয়নের বাঁধের কাজ তুলনামূলকভাবে ভালো হলেও খলাছড়ার পশ্চিম লোহারমহলে যেভাবে কাজ হচ্ছে, তা একেবারে নিম্নমানের। এতে জনগণের উপকারের চেয়ে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি। অনিয়মের বিষয়গুলো আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব।”
পরিদর্শনে আরও উপস্থিত ছিলেন—সিলেট জেলা খেলাফত মজলিসের সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা মুখলিছুর রহমান, জনদাবী আদায় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও কাউন্সিলর মোস্তাক আহমদ, জকিগঞ্জ পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মাসুক আহমদ, পৌরসভা জামায়াতের আমীর আবু রুশদ মো. ইকবাল, উপজেলা খেলাফত মজলিসের সেক্রেটারি মাওলানা আলাউদ্দিন তাপাদার, সহ-সাধারণ সম্পাদক হাফিজ আব্দুল হালিম, উপজেলা জমিয়তের সহ-সাধারণ সম্পাদক ও সাংবাদিক কেএম মামুন, জকিগঞ্জ প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি রহমত আলী হেলালী, যুগ্ম সম্পাদক এনামুল হক মুন্না এবং পৌরসভা খেলাফত মজলিসের সেক্রেটারি মাওলানা জুবায়ের আহমদ প্রমুখ।
এলাকাবাসীর দাবি, অনিয়ম-দুর্নীতিমুক্তভাবে দ্রুত কাজ শেষ করে সঠিকভাবে বাঁধ নির্মাণ নিশ্চিত করা হোক, যাতে ভবিষ্যতে বন্যা মোকাবেলায় সাধারণ মানুষ ক্ষতির মুখে না পড়ে।
আসিফ