
সংগৃহীত
সাধারণ মানুষের ঘরে রান্না যতটা গুরুত্বপূর্ণ, তার চেয়েও বড় হয়ে দাঁড়িয়েছে সেই রান্নার জন্য ব্যবহৃত এলপি গ্যাসের দাম
এখন প্রশ্ন, আগামী মাস থেকে এলপি গ্যাসের দাম বাড়ছে, না কমছে? বহুল আলোচিত প্রশ্নের উত্তর মিলবে আজ (মঙ্গলবার)। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আগস্ট মাসের জন্য নতুন দর ঘোষণা করতে যাচ্ছে।
এলপি গ্যাস এখন শুধুই শহরের বিষয় নয় গ্রামগঞ্জেও হাজারো পরিবার রান্নার জন্য এই গ্যাস নির্ভর। প্রতিমাসেই বিইআরসি সৌদি আরবের আরামকো কোম্পানির ঘোষিত CP (Contract Price) অনুযায়ী আন্তর্জাতিক বাজার বিশ্লেষণ করে দেশীয় দর সমন্বয় করে।
বিশ্ববাজারে দাম ওঠা-নামার সঙ্গে রয়েছে ডলারের বিনিময় হার, পরিবহণ খরচ ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় সব মিলিয়ে দাম নির্ধারণ হয় প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে।
গত জুলাই মাসে ১২ কেজির এলপি গ্যাসের দাম ছিল ১,১৯৫ টাকা। তার আগের কয়েক মাসেও দামের ওঠানামা চোখে পড়েছে। কিছু মাসে ২০–৩০ টাকা কমলেও, কোনো কোনো সময় তা এক লাফে বেছেছে ৫০–৬০ টাকা!
এই দোলাচলের ফলে ভোক্তারা পড়ছেন চাপে। নিম্ন-মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো মাসের বাজেট মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে।
বিশ্ববাজারে সাম্প্রতিক সময়ে এলপি গ্যাসের মূল্য কিছুটা কমতির দিকে থাকলেও, ডলারের মূল্য এখনো অস্থির। এর মধ্যে পরিবহণ ব্যয়ও বেড়েছে। তাই দাম কমবে নাকি বাড়বে এখনই নিশ্চিতভাবে বলা কঠিন।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সামান্য স্থিতিশীলতা থাকায় দাম কিছুটা কমার সম্ভাবনাই বেশি।
কেন নজর রাখবেন আজকের ঘোষণায়?
- রান্নার বাজেট নির্ভর করছে গ্যাসের দামের ওপর
- হোটেল-রেস্টুরেন্ট, ক্ষুদ্র ব্যবসা, বেকারি এমনকি চায়ের দোকানেও প্রভাব পড়ে
- ভবিষ্যতের বাজার পরিস্থিতি অনুমান করা সহজ হয়
বিইআরসির ঘোষণা আসতে পারে আজকের মধ্যেই। মূল্য কমলে স্বস্তি, বাড়লে আবারও ভোক্তাদের কপালে চিন্তার ভাঁজ এলপি গ্যাস এখন আর শুধু একটি পণ্য নয় এটি কোটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের অংশ।
এক মাসের দামের উত্থান-পতনেই বদলে যাচ্ছে পরিবারের খরচের হিসাব আজকের ঘোষণায় যদি দাম কমে, তবে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরবে সাধারণ মানুষের ঘরে। আর যদি দাম বাড়ে, তবে রুটির জন্য গ্যাসের চাপ আরও বাড়বে জনগণের কাঁধে।
হ্যাপী