
ছবি: জনকণ্ঠ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়তে শুরু হওয়ায় আবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে ১০০ টি পরিবার তাদের বসত বাড়ি সরিয়ে নিয়েছেন। এছাড়াও হুমকির মুখে পড়েছে ওই এলাকার সরকারি,বেসরকারি স্থাপনাসহ আবাদি-জমি বসতবাড়ি। স্থানীয়রা বলছেন, ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না পারলে আমাদের সবাইকে বাস্তুহারা হতে হবে। পাউবো কর্তৃপক্ষ ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের বজরাদিয়ার খাতা এলাকার ব্রহ্মপুত্রের তিব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।
শনিবার (১৪ জুন) নয়ারহাট ইউনিয়নের বজরাদিয়ার খাতা এলাকায় দেখা গেছে, গত ১৫ দিন থেকে নদ নদী ভাঙ্গন চলমান আছে এতে তাড়াহুড়া করেও ভাঙ্গন কবলিত মানুষজন তাদের বসতবাড়ি সরাতে পারছে না। সকাল থেকে মাথায় করে ঘরবাড়ি বিচ্ছিন্ন অংশগুলো নিরাপদ স্থানে সরিয়ে রাখছেন। কেউবা আবার নৌকা যোগে ঘর বাড়ির বিচ্ছিন্ন অংশ অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছেন। স্থানীয়রা জানান গত কয়েকদিন থেকে ভাঙ্গনের তীব্রতা আরো বেড়েই চলছে।
জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্রের করাল গ্রাসে ভেঙে গেছে নয়ারহাট ইউনিয়নের ১০০ পরিবার। ওই এলাকায় আবাদি জমি, বৈদ্যুতিক খুঁটি, সহ সরকারি ও বেসরকারি স্কুল মাদ্রাসা হুমকিতে পড়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে বজরাদিয়ার খাতা এলাকার মোকলেসুর রহমান, মোতালেব, ফুল মিয়া, মাজেদা, আজিতন, জবানুর সহ আরও বেশ কয়েকজনের বসতভিটা নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে। তিন দিনে ভেঙে গেছে, সরকারি আশ্রয়ন, মাদ্রাসা কবরস্থান। এছাড়াও গতবছর ভেঙে গেছে প্রায় ৪০০ পরিবার।
স্থানীয় বাসিন্দা মোকলেছুর রহমান জানান, আমরা কয়েক বছর থেকে এই চরে বসবাস করি। গত বছর আমাদের চর ব্যাপকভাবে ভাঙ্গনের শিকার হয়েছিল। কিন্তু ভালো পদক্ষেপ না নেওয়ায় এবারও নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছি। আমরা চাই দ্রুত আমাদের চর টা বেঁধে দিলে আমরা শান্তিতে থাকতে পারবো। নাইলে আমাদের এই চর ছাইড়া যাইতে হবো।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল বলেন, নদীর পানি একটু কমার ফলে ভাঙ্গন শুরু হয়ে গেছে। বেশ কয়েকদিন থেকে অনেক বাড়িঘর ভাঙছে আমার নিজের বাড়িও নদীর পাড়ে তাই সরায় নিতেছি। আমরা ৩০ বছর থেকে এই চরে বসবাস করি। ভাঙ্গনের ফলে আমাদের এই চড় থাইকা অন্যত্র যাইতে হচ্ছে। আমি ভাঙ্গনের বিষয়টি আমার ইউপি সচিব কে জানিয়েছি।
চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক বলেন, নয়ারহাটে ভাঙনের বিষয়টি আমাকে কেউ জানায়নি। আপনার মাধ্যমে জানলাম আমি এখনি পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে এ বিষয়ে কথা বলবো।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)'র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, শাকাহাতীতে কিছু জিও ব্যাগ পাঠানোর প্লান করেছি তবে নয়ারহাট ইউনিয়নের বিষয়টি আমার জানা নেই।
শিহাব