
ছবি: জনকণ্ঠ
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দিতে প্রকাশ্যে দিবালোকে সরকারী খালের পাড় কেটে মাটি বিক্রি করছে এলাকার প্রভাবশালী একটি চক্র। মাটি কর্তন করতে গিয়ে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙ্গে ফেলায় ২দিন ধরে সোনাইকুড়ি, জিয়েলগাড়ী, বাসাবাড়ী গ্রামের শতাধিক গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বালিয়াকান্দি উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের সোনাইকুড়ি, জিয়েলগাড়ী ও বাসাবাড়ী গ্রামের মাঠের পানি নিষ্কাশন ও প্রবেশের জন্য খাল খনন করা হয়। খালের দুই পাড়ে মাটি থাকায় জমির মালিকরা সেখানে কলাগাছসহ বিভিন্ন গাছ রোপন করে। প্রায় ১০-১৫ দিন ধরে এলাকার প্রভাবশালী মাহবুব, নিয়ামতসহ কয়েকজন মিলে ইউএনওর অনুমতি নিয়ে খাল পাড়ের মাটি ভেকু দিয়ে কর্তন শুরু করে। কৃষি জমি ছাড়াও প্রায় এক ফুট নিচু করে ভেকু দিয়ে মাটি কেটে বিক্রি করে। তারা প্রভাবশালী হওয়ার কারণে এ অন্যায় কাজে কেউই প্রতিবাদ করার সাহস পায়নি। বৃহস্পতিবার রাতে ভেকু দিয়ে মাটি কর্তন করার সময় বিদ্যুতের খুঁটির টানার সাথে ধাক্কা লেগে একটি খুঁটি ভেঙে পড়ে। এতে সোনাইকুড়ি, বাসাবাড়ী ও জিয়েলগাড়ী গ্রামের প্রায় শতাধিক গ্রাহকের বিদ্যুতের লাইন বিকল হয়ে পড়ে। প্রচণ্ড গরমে এসকল পরিবার চরম বিপাকে পড়েছেন।
তারা আরো জানিয়েছেন, শুক্রবার রাজবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ থেকে নতুন খুঁটি স্থাপন করা হলেও কোন ক্ষতিপূরণ না দেওয়ায় নতুন করে লাইন চালু করেনি। এখন গ্রাহকদের কাছে নতুন করে ক্ষতিপূরণের টাকা দাবি করছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খালের পাড়ের মাটি ভেকু দিয়ে কেটে ট্রাকে করে নিয়ে যাচ্ছে। ভেকু চালকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মাহবুব, নিয়ামতরা মাটি কাটছে। কোন অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে সে কিছু জানে না বলে প্রকাশ করে।
মাটি কর্তনের ট্রাকের হিসেব রাখার কাজে ব্যস্ত এক যুবকের নাম ও কিভাবে কাটছে জানতে চাইলে বলে, ইউএনও’র কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে কাটছে। এসময় নিয়ামতের মোবাইল ফোনে ধরিয়ে দেয়। নিয়ামত বলেন, আপনি আমার ভাই, চলে যান দেখা করবোনে। পরে কার অনুমতি নিয়ে মাটি কর্তন করা হচ্ছে জানতে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও ফোন রিসিভ করেনি। বালিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার চৌধুরী মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমি কারো মাটি কর্তনের অনুমতি দেইনি। আমি জানতে পেরে তাৎক্ষণিকভাবে মাটি কর্তন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
রাজবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার প্রকৌশলী গোলাম আহম্মদ বলেন, একটি খুঁটি ভেঙে ফেলে মাটি কর্তন করতে গিয়ে। তার ক্ষতিপূরণ না দিলে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হবে।
আবির