ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

বরিশাল বিভাগে নেই করোনা পরীক্ষার কিট, দুর্ভোগে সেবা প্রত্যাশীরা

এনামুল হক এনা, বরিশাল

প্রকাশিত: ১৬:০২, ১৪ জুন ২০২৫; আপডেট: ১৯:৩৫, ১৪ জুন ২০২৫

বরিশাল বিভাগে নেই করোনা পরীক্ষার কিট, দুর্ভোগে সেবা প্রত্যাশীরা

ছবি: সংগৃহীত।

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভাগের ৪০টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের একটিতেও করোনা পরীক্ষার কিটসসহ অন্যান্য উপকরণ নেই। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সেবা প্রত্যাশীরা। তবে শীঘ্রই কিটসসহ অন্যান্য উপকরণ চলে আসলে পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানিয়েছে বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগ।

আজ শনিবার (১৪ জুন) বরিশালের বিভিন্ন হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্যমতে, বরিশাল বিভাগের দুটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ছয় সদর হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে করোনা পরীক্ষার কিটসসহ অন্যান্য উপকরণ নেই। ফলে সেবা না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন করোনার লক্ষণ নিয়ে আসা রোগীরা। 

বরিশাল নগরীর চাদমারি এলাকার বাসিন্দা সিহাব (২৫) বলেন, “করোনার লক্ষণ নিয়ে সরকারি হাসপাতালে গিয়ে জানতে পারি টেস্ট করা যাবে না। পরে তারা কয়েকদিন পর আসতে বলছে। এখন অসুস্থ শরীর নিয়ে কোথায় যাব? বিভাগীয় হাসপাতালে যদি স্বাস্থ্য সেবার মান এমন হয়!”

বাউফল থেকে শেবাচিমে আসা লামিয়া আক্তার (১৮) বলেন, “বাউফল হাসপাতালে করোনার কিট নেই। বাধ্য হয়ে এখন আমি করোনা উপসর্গ নিয়ে বরিশালে এসেছি। কিন্তু এখানেও একই অবস্থা। কোথাও করোনা কিট নেই।” এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ারও আবেদন জানান লামিয়া।

গলাচিপার বাসিন্দা আক্তার হোসেন (৪৫) বলেন, “করোনার লক্ষণ নিয়ে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাই, গিয়ে জানতে পারি করোনা পরীক্ষার কোনো ব্যবস্থা নেই। পরে বরিশালে গিয়েও সরকারি হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা ও চিকিৎসাসেবা পাইনি। এটি খুবই দুঃখজনক।”

এ বিষয়ে দৈনিক জনকণ্ঠকে পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ খালেদুর রহমান মিয়া বলেন, “করোনা পরীক্ষার কিট আনার জন্য রিকুইজিশন লিখেছেন। আজ রাতে ঢাকা থেকে আনতে যাবে। আগামীকাল চলে আসবে। পরশুদিন হতে করোনা পরীক্ষা করতে পারবো। ইনশাআল্লাহ।”

এ বিষয়ে বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক শ্যামল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, “ঈদের ছুটির কারণে করোনার পরীক্ষা-নিরীক্ষায় একটু বিলম্ব হয়েছে। দু'এক দিনের মধ্যেই করোনা পরীক্ষার কিটসসহ সব উপকরণ চলে আসবে।”

তিনি আরো বলেন, বরিশাল বিভাগের সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল ও ৪০টি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আইসোলেশন ব্যবস্থা চালুর জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

মিরাজ খান

×