ছবিঃ জনকণ্ঠ
ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছেন বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। ফলে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে কর্মমুখি মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
পরিবার-পরিজন নিয়ে কর্মস্থলে ফিরতে আসা যাত্রীরা যাত্রার চাপ থাকলেও স্বস্তির সুরে জানাচ্ছেন এ যাত্রায় ভোগান্তি নেই।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমানে ২০টি ছোট-বড় লঞ্চ চলাচল করছে। যাত্রীদের চাপ থাকলেও লঞ্চ চলাচলে স্বাভাবিক থাকার কারণে নদী পারাপারে কোনো ধরনের দীর্ঘসূত্রতা দেখা যাচ্ছে না। ফলে অপেক্ষাকৃত স্বাচ্ছন্দ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন যাত্রীরা।
ঘাটে যাত্রীদের উপস্থিতি বাড়লেও কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা দীর্ঘ অপেক্ষার দৃশ্য চোখে পড়েনি। এতে যাত্রীরা স্বস্তির পাশাপাশি কৃতজ্ঞতাও প্রকাশ করছেন।লঞ্চ ঘাটে দুর্ভোগ না থাকায় যাত্রীদের মধ্যেও এমন কথাই শুনা যাচ্ছে।
এসময় মরিয়ম বেগম নামের এক যাত্রী বলেন, চাপ কিছুটা বেশি হলেও আমরা খুব সহজেই নদী পার হতে পেরেছি। সময়ও বেশি লাগেনি। তিনি বলেন, পদ্মা সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচলের শুরু হওয়ার পূর্বে দৌলতদিয়া এই ঘাটে ১২ মাস দুর্ভোগে চলাচল করতে হতো।
মধ্য বয়সী লালন সরদার নামের এক ব্যক্তি বলেন, দৌলতদিয়া লঞ্চ ও ফেরি ঘাটের দুর্ভোগের কথা দেশ বাসী অবগত রয়েছে। তবে এখন সেই চিরচেনা দৃশ্য চোখে পড়ে না। কারণ দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ থাকলেও দুর্ভোগ চোখে পরে না।
রাব্বী মিয়া নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, প্রচন্ড গরমে কষ্ট হচ্ছে। দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটে যাত্রীদের অতিরিক্ত চাপও রয়েছে। তিনি বলেন, এর পূর্বে আমি কখনও লঞ্চে নদী পারাপার হয়নি। তাই বলতে পারবো না। কিন্ত আজ আমরা সহজে লঞ্চে উঠতে পেড়েছি।
দৌলতদিয়া লঞ্চ ঘাটের ম্যানেজার মো. নুরুল আনোয়ার মিলন জানান, “বিগত কয়েক দিনের তুলনায় আজ কর্মমুখি মানুষের চাপ বেশি। তবে যথেষ্ট সংখ্যক লঞ্চ চলাচল করায় কোনো ধরনের ভোগান্তি নেই। লঞ্চ সার্ভিস স্বাভাবিক রয়েছে।”
বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঈদের পরবর্তী এই ব্যস্ত সময়কে কেন্দ্র করে সার্বিক নিরাপত্তা এবং ঘাট ব্যবস্থাপনায় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ফলে সুষ্ঠুভাবে যাত্রা পরিচালনা সম্ভব হচ্ছে।
আলীম
