ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পটিয়ায় বিএনপির দু’পক্ষের সংঘাতের আশংকা, পাল্টা-পাল্টি হুঁশিয়ারি

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটিয়া

প্রকাশিত: ১১:০৩, ১৩ জুন ২০২৫

পটিয়ায় বিএনপির দু’পক্ষের সংঘাতের আশংকা, পাল্টা-পাল্টি হুঁশিয়ারি

ছবিঃ সংগৃহীত

চট্টগ্রামের পটিয়ায় দলীয় কোন্দল ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষ একে অপরকে হুঁশিয়ারি করেছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। এরপর থেকে পটিয়া বিএনপির অভ্যান্তরীন কোন্দল যেন আরো প্রকাশ্যে রূপ নেয়।

এর মধ্যে দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়া এক গ্রুপ ও একই কমিটির সদস্য এনামুল হক এনাম আরেক গ্রুপের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবে পটিয়া পৌর সদরে বিএনপির দলীয় কার্যালয়টি আগে থেকে দখলে ছিল এনাম গ্রুপের। ইদ্রিস গ্রুপ দলীয় কার্যালয়টি নিয়ন্ত্রণ  নিতে চেষ্টা চালাচ্ছেন।  ইতোমধ্যে পটিয়া উপজেলা বিএনপি ও পৌরসভা বিএনপির কমিটিও (এনামের অনুসারী) ইদ্রিস মিয়া ভেঙ্গে দিয়েছেন।  যে কোন সময় নতুন কমিটি ঘোষনা হতে পারে।

এরমধ্যেই একে অপরকে চাঁদাবাজ, ধান্ধাবাজ, ঝাপটাবাজ, বেরাজ্জ্যাসহ আপত্তিকর মন্তব্য করে উত্তেজনা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে এনাম গ্রুপের লোকজন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক ইদ্রিস মিয়ার বিরুদ্ধে পটিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল বের করে। 

দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আলহাজ্ব ইদ্রিস মিয়া বলেন- “দলের নাম ভাঙিয়ে বিএনপির পরিচয়ে একটি চাঁদাবাজ চক্র দীর্ঘদিন ধরে কার্যালয় দখল করে রেখেছে। তারা দলীয় কার্যক্রমের নামে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলে ব্যস্ত। এই গ্রুপটি আওয়ামী এজেন্ডা বাস্তবায়নে সক্রিয় ভূমিকা রাখছে।”  আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আমাদের অনুরোধ করেছে যেন উত্তেজনা এড়াতে দলীয় কার্যালয়ে না যাই — আমরা তা মেনে নিয়েছি। কিন্তু এনামের অনুসারীরা লাঠিসোটা নিয়ে কার্যালয় দখল করে রেখেছে। প্রশাসন স্পষ্ট পক্ষপাতিত্ব করছে।

পটিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব খোরশেদ আলম উত্তেজনার জন্য ইদ্রিস মিয়ার কর্মসূচিকে দায়ী করে বলেন, “একই জায়গায় একাধিক কর্মসূচি ঘোষণা করাতেই বিভ্রান্তি ও উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ইদ্রিস মিয়া তার বক্তব্যে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন,  “দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের দোসর কিংবা দলবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত কেউ বিএনপির সদস্য হতে পারবে না। দলের স্বার্থে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

অপর দিকে এনাম গ্রুপের মুখপাত্র পটিয়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব খোরশেদ আলম বলেন- ইদ্রিস মিয়া জেলা বিএনপির আহবায়ক।  তিনি কেন শুধুশুধু উপজেলা ও পৌরসভায় এসে বিশৃঙ্খলা করবেন। ওনি আমাদের গ্রুপকে চাঁদাবাজ বলে আখ্যা দিয়ে তিনি নিজেও চাঁদাবাজি  করছেন।  আওয়ামী লীগকে যারা পুনর্বাসন করতে চান, তাদের স্থান পটিয়া বিএনপির কার্যালয়ে হবে না। জবর দখল করে দলীয় কার্যালয়ে ঢুকতে দেওয়া যাবে না।

খোরশেদ আলম অভিযোগ করে  বলেন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক সুসময়ের নেতা ছিলেন। তিনি বিগত ১৭ বছর পটিয়ার রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয় ছিলেন না। ৫ আগস্ট পরবর্তী জেলা বিএনপির আহবায়ক হয়ে তৃণমূলে বিশৃঙ্খলা শুরু করেছেন। এ সুযোগ তৃণমূল নেতাকর্মীরা তাকে দিবেন না।
 

আলীম

×