ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৬ মে ২০২৫, ১২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ঈদুল আজহা উপলক্ষে দৌলতপুরে প্রস্তুত ৪৭ হাজার পশু, আশাবাদী খামারিরা

মোঃ সম্রাট আলী, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া)

প্রকাশিত: ২৩:৫৭, ২৫ মে ২০২৫

ঈদুল আজহা উপলক্ষে দৌলতপুরে প্রস্তুত ৪৭ হাজার পশু, আশাবাদী খামারিরা

ছবিঃ সংগৃহীত

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে এ বছরের ঈদুল আজহায় কোরবানির জন্য ৪৭ হাজারের অধিক পশু প্রস্তুত করেছেন খামারীরা। যা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ২৫ হাজার পশু রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হবে। 

প্রস্তুত করা এসব পশুর দাম ভাল পেলে লাভের মুখ দেখবেন এমন প্রত্যাশা খামারিদের। গরু পালনে সীমান্তবর্তী উপজেলা দৌলতপুরের আলাদা ঐতিহ্য রয়েছে। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও প্রাকৃতিক উপায়ে ও দেশীয় পদ্ধতিতে গরুসহ অন্যান্য পশু লালন পালন এবং  মোটাতাজা করেছেন উপজেলার খামারিরা। 

তাই কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে শেষ মূহুর্তে পশুর পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন তারা। দৌলতপুর উপজেলা প্রাণি সম্পদ অফিসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, এ বছর দৌলতপুরে ৫ হাজার ২২৩ জন বড় ও ক্ষুদ্র খামারি এবং প্রান্তিক কৃষক কোরবানির জন্য ৪৭ হাজারেরও বেশী পশু মোটাতাজা ও হৃষ্টপুষ্ট করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ২০ হাজার ৩৯৯টি গরু, ৩১৬টি মহিষ, ২৩ হাজার ২৭টি ছাগল ও ৩ হাজার ২৯৪টি। 

স্থানীয়ভাবে পশুর চাহিদা ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে ২২ হাজার। স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বাঁকী পশু ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করা হবে। 

দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামের এন এস আর এগ্রো খামারের মালিক মো. নাঈম হোসেন জানান, কোরবানির ঈদ উপলক্ষ্যে তার খামারে ৩০টি মহিষ ও ১০টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ দেশীয় খাবার খাওয়ায়ে লালন পালন করেছেন তিনি। ভারত থেকে গরু-মহিষ আসা বন্ধ থাকলে লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

অপর একটি খামারের মালিক জিয়াউর রহমান জানান, তার খামারে ১৫ গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। আগের তুলনায় গরুর দাম বেশি পড়বে, কারণ গো-খাদ্যের দামসহ অন্যান্য খরচও বেড়েছে।

দৌলতপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. মাহমুদুল ইসলাম জানান, চাহিদার তুলনায় দৌলতপুরে উপজেলায় কোরবানির পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে, যা দেশের অন্যান্য এলাকার চাহিদা পূরণে সহায়ক হবে। প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে খামারিদের পরামর্শসহ সব ধরণের সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। 

দৌলতপুরে কোরবানির পশু প্রস্তুতের বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আব্দুল হাই সিদ্দিকী বলেন, এবার উপজেলার ৪টি হাটে পশু বেচাকেনা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় পশু যেন অবৈধভাবে প্রবেশ না করে সে বিষয়েও বিজিবি সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। এছাড়াও জালনোটের বিষয়ে সচেতন করা ও পরীক্ষ নিরিক্ষার জন্য ব্যাংকগুলো পশুহাটে ব্যবস্থা নিবে।

আলীম

×