
ছবিঃ সংগৃহীত
উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে যমুনা এবং বাঙালি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সারিয়াকান্দি মথুরাপাড়া পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির উচ্চতা ছিল ১৩.৮৬ মিটার। গত রবিবার এ নদীর পানির উচ্চতা দাঁড়িয়েছে ১৩.০০ মিটার। যা গত তিনদিনে যমুনা নদীর পানি ১৪ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে।
সারিয়াকান্দিতে যমুনা নদীর পানির বিপৎসীমা ১৬.২৫ মিটার। অর্থাৎ এ উপজেলায় যমুনার পানি বিপৎসীমার ৩.২৫ মিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বাঙালি নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ নদীর পানি গত কয়েকদিন আগে থেকেই বৃদ্ধি পায় । বৃহস্পতিবার পানির উচ্চতা দাঁড়ায় ১৩.০৫ মিটার। রবিবার এ নদীর পানির উচ্চতা ছিল ১৩.৭৬ মিটার। যা গত ৩ দিনে সারিয়াকান্দি বাঙালি নদীর পানি ৭১ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়েছে। সারিয়াকান্দিতে বাঙালি নদীর পানির বিপৎসীমা ১৫.৪০ মিটার। অর্থাৎ বাঙালি নদীর পানি বিপৎসীমার ১.৬৪ মিটার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ।
এতে চরাঞ্চলের মানুষরা সহজই এক স্থান থেকে অন্যস্থানে চলাচল করতে পারছেন। এতে তারা তাদর উৎপাদিত কৃষিপণ্য সহজেই বাজারজাত করতে পারছেন। ঈদ কে সামনে রেখে চরাঞ্চলের পালিত কুরবানির পশু সহযেই বিভিন্ন এলাকার হাট বাজারে বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। সারিয়াকান্দি কালিতলা ঘাটে খোঁজে নিয়ে জানা যায়, সেখানে দূরপাল্লার সকল ধরনের নৌকাগুলা এখন খুব সহজেই চলাচল করতে শুরু করেছে ।
বগুড়া জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নাজমুল হক বলেন, উজানে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে যমুনা এবং বাঙালি নদীতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে । তবে দুই নদীতেই পানি স্থিতিশীল রয়েছে। আশা করা যাচ্ছে দু একদিনের মধ্যেই পানি কমে যাবে। তারপর আবারো বাড়বে। আগামী জুন মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত পানি এরকমই কমবেশির মধ্যেই থাকবে। তবে জুন মাসের শেষের দিক থেকে পানি একবারে স্থানীয় ভাবে বাড়তে শুরু করবে। এ মুহুর্তে পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করার কনো সম্ভাবনা নেই।
আলীম