ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২৬ মে ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রামু রাবার বাগান: অপরুপ সৌন্দর্যের হাতছানি

ইমতিয়াজ মাহমুদ ইমন, কন্ট্রিবিউটিং রিপোর্টার, কক্সবাজার

প্রকাশিত: ২৩:৩৭, ২৫ মে ২০২৫

রামু রাবার বাগান: অপরুপ সৌন্দর্যের হাতছানি

ছবিঃ সংগৃহীত

রামু ঐতিহ্যে ভরা রাবার বাগান চারিদিকে শুধু সবুজের সমাহার। দু-চোখে যতটুকু দেখা যায় সবুজ আর সবুজের মাঝে নিজেকে সমর্পন করছেন এমনটাই মনে হবে রাবার বাগান আসলে। 

কক্সবাজার জেলা শহর থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে রামু উপজেলায় পাহাড় ও সমতলের সমন্বয়ে ঐতিহ্যবাহী রামু রাবার বাগান গড়ে তোলা হয়েছে। ১৯৬০-৬১ সালে বাংলাদেশ বন শিল্প উন্নয়ন কর্পোরেশনের সহায়তায় অনাবাদি জমি গবেষণার মাধ্যমে রামুতে রাবার চাষাবাদ শুরু করা হয়। 

ছোট বড় অসংখ্য পাহাড়, টিলা ও বিস্তৃত সমতল পাহাড়ের মাঝে ২,৬৮২ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত রামু রাবার বাগানের চারপাশে রয়েছে অপরুপ সৌন্দর্যের হাতছানি। 

শুরুর দিকে বাগানে ৫৮,০০০ টি উৎপাদনক্ষম রাবার গাছ থাকলেও বর্তমানে প্রায় ১,৫০,০০০ টি গাছ রয়েছে। একটি রাবার গাছ ২৫ বছর পর্যন্ত রাবার কষ উৎপাদন করতে পারে এবং ৩২-৩৩ বছর বয়সে গাছগুলো অর্থনৈতিকভাবে উৎপাদন ক্ষমতা হারায়। রাবার বাগানের এসব গাছ থেকে বছরে প্রায় আড়াই লাখ কেজি রাবার উৎপাদিত হয় যে অর্থ দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা পালন করছে। 

বর্তমানে এই বাগানটি দেশের একটি অন্যতম পর্যটন স্থান হিসেবে পরিচিত। প্রতিদিন দেশ বিদেশের অসংখ্য পর্যটক রাবার বাগান ও রাবারের উৎপাদন প্রক্রিয়া দেখতে বাগানে ঘুরতে আসেন। রামু রাবার বাগানের খোলামেলা পরিবেশ পিকনিক স্পট হিসেবে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করছে। 

সাধারণত শীতের মৌসুমে রাবার বাগান ভ্রমনের যথাযথ সময়। ওই সময় রাবার গাছে কষ উৎপাদন বেশি হয়। এই সময় রাবার বাগান ঘুরতে গেলে যে কারো মনে প্রশান্তির ছাপ আসবে। 

রামু রাবার বাগানে একটি দৃষ্টিনন্দন রেস্ট হাউজ রয়েছে। কতৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে পর্যটকরা এখানে রাত্রি যাপন করতে পারে। প্রকৃতি প্রেমিদের জন্য দেশের প্রথম এবং বৃহত্তম রাবার বাগান টি আকর্ষনীয় ভ্রমণ স্পটে পরিনত রামু রাবার বাগান।

আলীম

×