
ছবিঃ সংগৃহীত
জ্যৈষ্ঠ মাসের শুরু থেকেই দেশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি। সেই সঙ্গে রয়েছে তীব্র বজ্রপাত ও ভারী বর্ষণ। এমন টানা বৃষ্টির ফলে এবার ধেয়ে আসছে বন্যা। এর ফলে প্লাবিত হতে পারে বেশ কয়েকটি জেলা।
ভারতের মেঘালয় ও আসামে টানা ভারী বর্ষণের পানি উজান থেকে নেমে আসছে। ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর ও নেত্রকোনা এবং সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ ও সিলেটে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। এর পাশাপাশি শেরপুরে গত চার দিনে থেমে থেমে বৃষ্টিপাতের কারণে জেলার নদ-নদীর পানি দ্রুত বাড়ছে। এরই মধ্যে চেল্লাখালি নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে।
এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন কানাডার সাসকাচুয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ। ২০ মে আবহাওয়া.কম-এ দেওয়া এক বিবৃতিতে প্রধান আবহাওয়াবিদ পলাশ জানান, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ময়মনসিংহ বিভাগের শেরপুর ও নেত্রকোনা এবং সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ ও সিলেটের বিভিন্ন নদীতে পাহাড়ি ঢল শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, ২০ মে মঙ্গলবার থেকে ২১ মে বুধবার দুপুর ১২টার মধ্যে রংপুর, ময়মনসিংহ এবং সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর উপর দিয়ে এক নাগাড়ে মাঝারি থেকে ভারী বর্ষণ অতিক্রমের প্রবল আশঙ্কা করা যাচ্ছে।
শেরপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল ১০টায় চেল্লাখালি নদীর পানি বিপদসীমার ১০৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গতকাল রাত ১০টা পর্যন্ত এটি ছিল ৩৯ সেন্টিমিটার উপরে। মঙ্গলবার ভোর থেকে মুষলধারে বৃষ্টি এবং উজানে অতিরিক্ত বর্ষণের কারণে আবারও পানি বেড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড আরও জানায়, ভোগাই নদীর পানি বিপদসীমার ৩৭.৯ সেন্টিমিটার নিচে, নালিতাবাড়ী পয়েন্টে ২৫.৭ সেন্টিমিটার নিচে এবং পুরাতন ব্রহ্মপুত্র পয়েন্টে ৬৮.৭ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সতর্কবার্তায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর জানিয়েছে, ২০ মে পর্যন্ত জেলার নিম্নাঞ্চলগুলো সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে, যা জনজীবন ও কৃষি খাতে বড় ধরনের ক্ষতির কারণ হতে পারে।
ইমরান