
ছবি: প্রতীকী
বছরের এই সময়টিতে দক্ষিণ এশিয়া, বিশেষ করে বঙ্গোপসাগর ঘূর্ণিঝড়প্রবণ এলাকা হিসেবে পরিচিত। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঘূর্ণিঝড়ের ধরন, গতিপথ এবং তীব্রতা এখন অনেক বেশি অনিশ্চিত ও ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। বৈশাখের প্রখর তাপদাহ যখন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র আকার ধারণ করেছে, তখন নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে একটি সম্ভাব্য শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়—‘শক্তি’।
এ বছর বৈশাখের শেষভাগে দেশের কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই দাবদাহে যখন জনজীবন নাকাল, তখন বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ঘিরে জনমনে নতুন করে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছে।
কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে সতর্ক করে জানান, ২০ থেকে ২৮ মে’র মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় তৈরির আশঙ্কা রয়েছে। তিনি জানান, এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম ‘শক্তি’ শ্রীলঙ্কার প্রস্তাবিত।
পলাশ আরও জানান, ২৪ থেকে ২৬ মের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি ভারতের উড়িষ্যা উপকূল থেকে শুরু করে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম উপকূল পর্যন্ত যেকোনো স্থানে আঘাত হানতে পারে। তবে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের খুলনা উপকূলে আঘাত হানার আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি।
বাংলাদেশ ওয়েদার অবজারভেশন টিম (BWOT) জানিয়েছে, ১৬ থেকে ১৮ মে’র মধ্যে সাগরে একটি সার্কুলেশন তৈরি হতে পারে, যা ধাপে ধাপে লঘুচাপ, নিম্নচাপ এবং গভীর নিম্নচাপে রূপ নিয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
এদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, এখন পর্যন্ত ‘শক্তি’ নিয়ে কোনো চূড়ান্ত সতর্কতা জারি হয়নি। তবে পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং সময়মতো প্রয়োজনীয় সতর্কতা ও নির্দেশনা দেওয়া হবে বলেও আশ্বস্ত করেছে কর্তৃপক্ষ।
বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের জন্য সতর্কবার্তা দিয়েছেন। তাদের মতে, এখন থেকেই স্থানীয়দের মানসিক প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। মাছ ধরার ট্রলার ও নৌকা নিরাপদ স্থানে সরিয়ে ফেলতে হবে। পাশাপাশি আশ্রয়কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রাখতে হবে, যেন জরুরি প্রয়োজনেই মানুষ সেখানে আশ্রয় নিতে পারে।
সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=Ix9M_EpeKjg
রাকিব