ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৬ জুলাই ২০২৫, ১১ শ্রাবণ ১৪৩২

এশিয়া কাপের পালে সুবাতাস

জাহিদুল আলম জয়

প্রকাশিত: ০১:৪৭, ২৫ জুলাই ২০২৫

এশিয়া কাপের পালে সুবাতাস

বৃহস্পতিবার ঢাকায় এসিসির বার্ষিক সাধারণ সভায় বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল (মাঝে) ও এসিসি সভাপতি মহসিন নাকভি (ডানে)

অবশেষে এশিয়া কাপ ক্রিকেটের পালে সুবাতাস বইতে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেলে বসেছিল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভা। সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে সভায় যোগ দেয় ভারতও। যে কারণে সভা হয়েছে প্রাণবন্ত। আর সভা শেষে তৃপ্ত এসিসি সভাপতি মহসিন রেজা নাকভি বাংলাদেশের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছেন। সভায় ভারত-শ্রীলঙ্কা অনলাইনে যোগ দিলেও বাকিরা ছিলেন সশরীরে। 
অবশ্য এসিসির এজিএম নিয়ে হঠাৎই ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল, এই সভা যথাসময়ে ঢাকায় হবে কি না! কেননা ঢাকায় এসিসির সভা হলে তাতে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল ভারত, শ্রীলঙ্কা ও আফগানিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। যদিও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল আগের থেকেই জোর দিয়ে বলে আসছিলেন, এসিসির বার্ষিক সভা যথাসময়েই ঢাকায় হবে। শুরুতে অংশ নিতে না চাইলেও শেষ পর্যন্ত ভারত, আফগানিস্তান ও শ্রীলঙ্কা সবাই অংশ নিয়েছে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের নির্ধারিত সভায়।

দুপুর ২টায় শুরু হয়ে বিকেলের আগেই শেষ হয়েছে এসিসির বার্ষিক সাধারণ সভা। সভায় এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের ২৫ সদস্য দেশই অংশ নিয়েছে। তবে ভারত ও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট বোর্ডের শীর্ষকর্তারা সশরীরে নয়, অনলাইনে অংশ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে এসিসির বার্ষিক সভা শেষে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি মহসিন নাকভি ও বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল কথা বলেন। তাদের বক্তব্যে পরিষ্কার, এশিয়া কাপ নিয়ে যে সংশয় ছিল তা কেটে গেছে।
ভারত হচ্ছে এবারের এশিয়া কাপের স্বাগতিক। এখন খেলা কি ভারতে হবে, নাকি অন্য কোনো দেশে? তা চূড়ান্ত হয়নি। সেটা বিসিসিআই জানাবে। নাকভি এসিসি মিটিং আয়োজনের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডপ্রধান আমিনুল ইসলাম বুলবুলের কার্যকর ও ইতিবাচক ভূমিকার প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, এজিএম মিটিং খুব ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এসিসিতে আমাদের ২৫ জন সদস্য আছেন এবং ২৫ জন সদস্যই এই মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করেন।’

সশরীরে ও ভার্চুয়ালি অংশ নেওয়া সব দেশের ক্রিকেট বোর্ডের প্রতিনিধিদের ধন্যবাদ জানিয়ে এসিসি প্রধান বলেন, ‘আমি এখানে আগত সকল সদস্যকে এবং যারা ভার্চুয়ালি এই মিটিংয়ে অংশ নিয়েছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। বিশেষভাবে আমিনুল ইসলাম ভাইকে তার আতিথেয়তার জন্য এবং বিসিবিকে তাদের অসাধারণ আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমরা ক্রিকেটের উন্নতির জন্য কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের সংস্থায় কোনো রাজনীতি চাই না।’
নাকভি বলেন, ‘শেষ কথা হচ্ছে আমরা সবাই ক্রিকেটের জন্য কাজ করতে চাই। কেউ খেলার মাঝে রাজনীতি চাই না। এখানে দারুণ পরিবেশে মিটিং হয়েছে। আশা করি ভবিষ্যতেও এমন মিটিং করতে পারব আমরা।’ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসিসি প্রধান নাকভি বলেন, ‘বিসিসিআইয়ের সঙ্গে সরাসরি কথা বলেই আমরা এশিয়া কাপের দিন-তারিখ ঠিক করব। দিনক্ষণের বিষয়ে শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে। আমরা বিসিসিআইয়ের সঙ্গে আলোচনা করছি এবং আশা করি খুব দ্রুতই বিষয়টির সমাধান হবে।’ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহীর কেউই সশরীরে এসিসির মিটিংয়ে ছিলেন না।

অনলাইনে অংশ নিয়েছেন। ভারতের প্রতিক্রিয়া কেমন জানতে চাইলে এসিসি প্রধান বলেন, ‘অনেক দেশই বিভিন্ন কারণে সশরীরে আসতে পারেনি, এটা স্বাভাবিক। তবে গুরুত্বপূর্ণ হলো বিষয় হলোÑ আমাদের এসিসির ২৫ জন সদস্য দেশই সশরীরে না হোক, অনলাইনে হলেও অংশগ্রহণ করেছেন।’ সবকিছুর জন্য সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) আমিনুল ইসলাম বুলবুল। ভারতকে বৈঠকে বসাতে পারায় প্রশংসায় ভাসছেন সাবেক বাংলাদেশ অধিনায়ক।

প্যানেল হু

×