
ছবি: সংগৃহীত
ভারত বনাম পাকিস্তানের মধ্যকার ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অব লিজেন্ডস (WCL) ম্যাচটি বাতিল হওয়াকে কেন্দ্র করে ফের একবার ক্রিকেট ও রাজনীতিকে একসাথে না টানার আহ্বান জানালেন পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নস দলের অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি।
রবিবার ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে অনুষ্ঠিতব্য ম্যাচটি বাতিল হওয়ায় আলোচনায় আসে খেলাধুলা বনাম রাজনীতির প্রসঙ্গ। পাকিস্তান দলের অধিনায়ক আফ্রিদি এ বিষয়ে বলেন, ‘আমরা এখানে ক্রিকেট খেলতে এসেছি। আমি সবসময় বলে এসেছি, ক্রিকেটকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা উচিত। একজন খেলোয়াড়ের উচিত ভালো দূত হওয়া, দেশের জন্য বিব্রতকর না হওয়া।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি ভারতের খেলার ইচ্ছা না থাকতো, তাহলে আগেই জানিয়ে দিত। এখানে এসে অনুশীলন করে শেষ মুহূর্তে খেলতে অস্বীকৃতি জানানো ঠিক হয়নি।’
ম্যাচ বাতিলের মূল কারণ হিসেবে ভারতের শিখর ধাওয়ানের বিরোধিতা সামনে এসেছে। তিনি এর আগেও পাকিস্তানের বিপক্ষে না খেলার অবস্থান জানিয়েছিলেন, এবং শনিবার তা আবারো নিশ্চিত করেন। ‘খেলাধুলা মানুষকে একত্র করে, কিন্তু যদি প্রতিটি বিষয়ে রাজনীতি টেনে আনা হয়, তাহলে এগোনো কঠিন হয়ে যায়। আলোচনার অভাবেই পরিস্থিতি খারাপ হয়,’ বলেন আফ্রিদি। ‘আমরা এসেছি একে অপরের সঙ্গে খেলে, বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ গড়ে তুলতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যদি জানতাম আমার কারণেই ম্যাচ বন্ধ হচ্ছে, তাহলে মাঠে যেতাম না। ক্রিকেটের তুলনায় আমি কিছুই না। ক্রিকেটই আসল জিনিস। রাজনীতিকে এতে আনলে খেলাধুলার ক্ষতি হয়।’
শনিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়া এক পোস্টে শিখর ধাওয়ান লেখেন, ‘১১ মে যেটা বলেছিলাম, আজও সেখানেই দাঁড়িয়ে আছি। আমার দেশ আমার কাছে সবকিছু, দেশের চেয়ে বড় কিছু হতে পারে না।’
ধাওয়ান ছাড়াও ভারতের যুবরাজ সিং, সুরেশ রায়না, ইরফান পাঠান ও ইউসুফ পাঠানসহ আরও কয়েকজন খেলোয়াড় পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলতে অস্বীকৃতি জানান। পুরো দলীয় সিদ্ধান্ত আয়োজকদের জানানো হয় এবং এর ফলেই ম্যাচ বাতিল করা হয়।
সূত্র: এনডিটিভি।
রাকিব