
ছবি: সংগৃহীত
১৯৬৯ সালের ২০ জুলাই মানুষের জন্য একটি বড় ঘটনা ঘটে। নাসার নভোচারী নীল আর্মস্ট্রং চাঁদের মাটিতে প্রথম পা রাখেন এবং বলেছিলেন, "মানুষের জন্য এটা একটা ছোট পদক্ষেপ, কিন্তু মানুষের জাতির জন্য এটা একটা বিশাল সাফল্য।" তখন সারা পৃথিবী আনন্দে ভাসে। তবে আজও কিছু মানুষ বিশ্বাস করে না যে সত্যিই মানুষ চাঁদে গেছে। তারা বলে, এটা একটা মিথ্যা কাজ ছিল এবং ওই মিশন আসলে স্টুডিওতে শুট করা হয়েছিল।
নাসা সম্প্রতি ৫৬ বছর পূর্তিতে ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছে, তারা আবার চাঁদে যাচ্ছে। এবার তারা চাঁদে দীর্ঘদিন থাকা এবং ভবিষ্যতে মঙ্গলে মানুষ পাঠানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আপোলো ১১ মিশনের মূল লক্ষ্য ছিল চাঁদে অবতরণ করা, বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা করা এবং নিরাপদে পৃথিবীতে ফিরে আসা। নীল আর্মস্ট্রং আর বাজ অলড্রিন প্রথম মানুষ যারা চাঁদে হাঁটেন। এই মিশন ভবিষ্যতের মহাকাশ গবেষণার পথ খুলে দেয়।
যারা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বিশ্বাস করে তারা বলে, চাঁদে বাতাস না থাকার কারণে পতাকা দুলবে না, কিন্তু ছবিতে পতাকা দুলতে দেখা যায়। আবার তারা বলে, চাঁদের আকাশে কোনো তারা দেখা যায় না, তাই এটা ভুয়া। কেউ কেউ বলে, আজকের উন্নত প্রযুক্তি থাকলেও কেন এখনো বড় পরিসরে মানুষ চাঁদে যাচ্ছে না। আবার কেউ বলে, মহাকাশের রেডিয়েশনের কারণে মানুষ বাঁচতে পারে না।
কিন্তু বিজ্ঞানীরা এই সব কথা ভুল প্রমাণ দিয়ে বুঝিয়েছেন। পতাকা দোলার কারণ হলো নভোচারীরা যখন সেটি গেঁথে ছিলেন তখন সেটি নড়ছিল, বাতাসের কারণে নয়। ক্যামেরার সেটিংস এমন ছিল যে তারা আকাশের তারকা ধরতে পারেনি। নভোচারীদের জন্য বিশেষ সুরক্ষা পোশাক এবং মহাকাশযানে রেডিয়েশন থেকে রক্ষা করার ব্যবস্থা ছিল। সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলো, তারা চাঁদ থেকে ৮০০ পাউন্ডেরও বেশি মাটি ও পাথর নিয়ে এসেছিল, যা পরবর্তীতে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হয়েছে চাঁদ থেকেই আনা।
এখন নাসা নতুন পরিকল্পনা নিয়েছে, যেখানে তারা আবার চাঁদে যাবে এবং সেখানে স্থায়ীভাবে অবস্থান করবে। এতে ভবিষ্যতে মঙ্গলে মানুষের যাত্রা সহজ হবে।
মুমু ২