ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় টি২০ আজ, সিরিজ বাঁচিয়ে রাখতে জয়ের বিকল্প নেই লিটন-মিরাজদের, একাদশে ফিরতে পারেন জাকের ও মুস্তাফিজ

অচেনা ডাম্বুলায় ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৫৪, ১৩ জুলাই ২০২৫

অচেনা ডাম্বুলায় ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ

সিরিজ হার এড়াতে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে জয়ের বিকল্প নেই টাইগারদের

কলম্বোতে দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতেছিল মেহেদি হাসান মিরাজের দল। চলতি শ্রীলঙ্কা সফরে তিন ফরম্যাটে ছয় ম্যাচ খেলে সেই একটিই জয় বাংলাদেশের। বাকি পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই গল্পটা একই ব্যাটিং ব্যর্থতার। দ্বিতীয়টিতে জয় পেলেও তিন ওয়ানডের একটিতেও ৫০ ওভার ব্যাটিং করতে পারেনি বাংলাদেশ! এরপর ক্যান্ডিতে প্রথম টি২০ তে ৫ উইকেটে ১৫৪ রান তুলেছিল লিটন দাসের দল।

শ্রীলঙ্কা সেটি ৭ উইকেট আর ১ ওভার হাতে রেখেই টপকে যায়। বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদের বক্তব্যের সারমর্ম হারের ভয়ই জিততে দিচ্ছে না বাংলাদেশকে! অধিনায়ক লিটনের অসহায় স্বীকারোক্তি,‘আমরা মোটেই ভালো ব্যাটিং করতে পারিনি।’ কলম্বোর চেনা কন্ডিশনে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২৪৮ রানের পুঁজি নিয়েও ১৬ রানের জয়ের কৃতিত্ব বোলারদের। ৫ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছিলেন নবীন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। অচেনা ডাম্বুলায় দ্বিতীয় টি২০তে আজ সিরিজ বাঁচিয়ে রাখার চ্যালেঞ্জ টাইগারদের; যেখানে এই প্রথম টি২০ খেলতে নামছে বাংলাদেশ। খেলা শুরু সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায়।
শ্রীলঙ্কার  সঙ্গে এ পর্যন্ত ১৮ টি২০ খেলে ১২টিতেই হেরেছে বাংলাদেশ, জয় ৬ ম্যাচে। এর মধ্যে শ্রীলঙ্কার মাটিতে তিন জয়ের তিনটিই কলম্বোতে। সফরে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত ম্যাচ খেলেছে গল, কলম্বো ও ক্যান্ডিতে। বৃহস্পতিবার ক্যান্ডিতে প্রথম টি২০ হারের যন্ত্রনা সঙ্গী করে শুক্রবার সড়ক পথে দেড় ঘণ্টার যাত্রায় ডাম্বুলায় পৌঁছায় টিম বাংলাদেশ। ২০১০ সালের পর সর্বশেষ ২০১৭ সালে এখানে ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। তা-ও দুই ম্যাচেই একটিতে হার। সেই দলের শুধু তিনজন (মিরাজ, তাসকিন, মুস্তাফিজ) খেলোয়াড় আছেন এই টি২০ স্কোয়াডে।

অধিনায়ক লিটন দাসেরও এখানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তানজিদ তামিম, পারভেজ ইমন, জাকের আলী, শামীম হোসেনদের কাছে ডাম্বুলা তো একদমই অচেনা। তাই চেনা কন্ডিশনে হেরে এসে অচেনা ডাম্বুলায় ঘুরে দাঁড়ানো যে সহজ হবে না, সেটা বলাই যায়। ডাম্বুলায় টি২০র গড় স্কোর খুব একটা বেশি নয়। দেড়শ’র আশপাশে। তবে রাতের ম্যাচে ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেট ভালো থাকে বলে বিশেষজ্ঞদের অভিমত। তাই টস এখানে বড় প্রভাব ফেলতে পারে। বাঁ ঊরুর মাংসপেশির চোটের জন্য প্রথম টি২০ মিস করা জাকের আলী আজ খেলতে পারেন, যদি টিম ম্যানেজমেন্ট তাঁকে উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলায়। কারণ চোট পুরোপুরি কাটিয়ে না ওঠায় উইকেটকিপিং ছাড়া অন্য কোনো ফিল্ডিং পজিশনে ফিল্ডিং করতে পারবেন না।  
গত সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তান সিরিজে ছয়টি টি২০তেই খেলেছিলেন জাকের। উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স বলতে আমিরাতের বিপক্ষে শেষ টি২০তে ছয় নম্বরে নেমে ৩৪ বলে ৪১ রানের ইনিংস।

পাকিস্তান সিরিজের প্রথম টি২০তে তাঁর ব্যাট থেকে আসে ২০ বলে ৩৬ রান, আর শেষ টি২০তে করেন ১৫ বলে অপরাজিত ১৫। শ্রীলঙ্কা সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ফিফটি করা ছাড়াও ভালো শুরু পেয়েছিলেন পরের দুই ম্যাচেই। শ্রীলঙ্কা সিরিজে ক্যান্ডির প্রথম টি২০তে প্রায় তিন বছর পর দলে ফিরেছেন ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ। অদ্ভূতুড়ে লাইনআপে তিনি খেলেছেন চারে, ৫ ও ৬ নম্বরে ব্যাট করেছেন তাওহিদ হৃদয় ও মিরাজ। টি২০ মেজাজে ব্যাটিং করতে পারেননি তাঁদের কেউই। ‘ইতিবাচক খেলা’র চেষ্টা করবে, এটাতেই এখন বিশ্বাস রাখতে হচ্ছে। তবে বাংলাদেশ দলের সামর্থ্য নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই মুশতাক আহমেদের,‘এই ছেলেদের সামর্থ্য রয়েছে। তারা ভালো ক্রিকেট খেলতে পারে। শুধু বিশ্বাস রেখে যেতে হবে।’ ভঙ্গুর ওপেনিং, এলোমেলো মিডল অর্ডার, ছন্নছাড়া বোলিং নতুন কিছু নয়। প্রথম টি২০তে দেখা গেছে ছন্নছাড়া বোলিংও। এমন অবস্থায় দ্বিতীয় টি২০তে যোগ হচ্ছে ডাম্বুলার অচেনা উইকেট। বিশ্বাসেই ভরসা রাখা ছাড়া আর উপায় কী!

 

প্যানেল/মজি

×