ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১

জয়সওয়াল-অশ্বিনে উড়ল ভারত

শাকিল আহমেদ মিরাজ

প্রকাশিত: ০০:৫৩, ২ অক্টোবর ২০২৪

জয়সওয়াল-অশ্বিনে উড়ল ভারত

সিরিজ জয়ের ট্রফি নিয়ে উল্লাস ভারতীয় ক্রিকেটারদের

পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে ২-০ ব্যবধানে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর ভারতের কাছ থেকে সমীহ পাচ্ছিল বাংলাদেশ। ঋষভ পন্থ, শুভমান গিলসহ সাবেক অনেক তারকাও বলছিলেন, প্রতিপক্ষকে হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। ‘পাকিস্তান আর ভারত এক নয়’Ñ বলে বাস্তবতটা স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন কেবল রবীন্দ্র জাদেজা। ভারতের আঙিনায় ভারতকে মোকাবিলা কতটা কঠিন, সেটি হারে হারে টের পেল নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

চেন্নাইয়ে ২৮০ রানের বড় জয়ের পর কানপুরের বৃষ্টিও বাঁচাতে পারল না বাংলাদেশকে। রেকর্ড বইয়ের পাতা তছনছ করে দুই দিনেরও কম সময়ে ৭ উইকেটের জয়ে শান্তদের ২-০ তে হোয়াইটওয়াশ করল রোহিত শর্মার দল। ১২৮.১৮ স্ট্রাইক রেটে ৫১ বলে ৭২ ও ৪৫ বলে ৫১ রানের বিধ্বংসী দুটি ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা জশস্বী জয়সওয়াল। ১ সেঞ্চুরিতে ১১৪ রান, সঙ্গে ১১ উইকেটÑ দুরন্ত অলরাউন্ড নৈপুণ্যে সিরিজসেরা রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
বাংলাদেশকে ২৩৩ রানে গুটিয়ে দেয়ার পর ৯ উইকেটে ২৮৫ রান তুলে প্রথম ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। তাও মাত্র ৩৪.৪ ওভারে! যে পথে তারা গড়ে দলীয় দ্রুততম ৫০, ১৫০, ২০০ ও ২৫০ রানের বিশ্বরেকর্ড। চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫৬ রানের ইনিংস খেলেছেন ১১৮ বলে। আর দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে জয়সওয়াল করেন ৫১ বলে ৭২। আর দ্বিতীয় ইনিংসে খেললেন ৪৫ বলে ৫১ রানের ইনিংস।

প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ের পর রান নয়, উইকেট বাঁচানোতেই মনোযোগ দিয়েছিলেন জয়সওয়াল। সে কারণেই অমন মন্থর ইনিংস। আর টি২০সুলভ ৫১ বলে ৭২ রানের ইনিংস তো এসেছিল দ্রুত রান তুলে ইনিংস ঘোষণার স্বার্থে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজে জয়সওয়াল রান করেছেন ১২৮.১২ স্ট্রাইকরেটে, যা কোনো নির্দিষ্ট সিরিজে ভারতীয় ক্রিকেটারদের সর্বোচ্চ।

ছাড়িয়ে গেছেন গ্রেট মোহাম্মদ আজহারউদ্দীনকে (১৯৯৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১২১.৯৬ স্ট্রাইকরেট)। ‘দলের জন্য কী করতে পারি, সেটা নিয়েই ভাবছিলাম। আমি যেভাবে খেলতে চাই সেভাবেই খেলার কথাই বলেছিলেন রোহিত ভাই ও স্যার (কোচ গৌতম গম্ভীর)।’Ñম্যাচসেরার পুরস্কার হাতে বলছিলেন জয়সওয়াল।
চেন্নাই টেস্টের প্রথম ইনিংসে অশ্বিনের (১১৩ রান) সেঞ্চুরিটি এসেছিল অত্যন্ত কঠিন সময়ে। পরে বল হাতে নেন ৬ উইকেট। কানপুরে তার শিকার ২ ও ৩ মোট ৫টি। এ নিয়ে মুত্তিয়া মুরলিধরনের সঙ্গে যৌথভাবে টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ১১ বার সিরিজসেরা হলেন তুখোড় এ অলরাউন্ডার। শেষ ৯টি দ্বিপক্ষীয় সিরিজ খেলে ৮টিতেই জিতল ভারত। আর গত ১১ বছরে ঘরের মাঠে টানা ১৮টি টেস্ট সিরিজে অপরাজিত থাকল মোড়ল দেশটি। আগামী ১৬ অক্টোবর থেকে বেঙ্গালুরু, পুনে ও ওয়াংখেড়ে নিউজিল্যান্ডের সঙ্গে তিন টেস্টের সিরিজ খেলবে রোহিতের দল।

×