সুনীল গাভাস্কার ও হার্শা ভোগলে
পাকিস্তানকে তাদেরই মাটিতে হোয়াইটওয়াশ করার পর থেকে উড়ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। শান্ত-মিরাজ-লিটনদের মনোবল এখন তুঙ্গে। আত্মবিশ্বাসে বলিয়ান হয়ে টাইগাররা বর্তমানে ভারত সফরে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার চেন্নাইয়ে রোহিত-কোহলিদের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে মিশন শুরু করবে টিম টাইগার। এর আগে শত্রু-মিত্র সবার প্রশংসায় ভাসছেন বাংলার তারকারা।
এই যেমন ভারতের দুই কিংবদন্তি ব্যাটার সুনীল গাভাস্কার ও ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বাংলাদেশকে। আর সতর্ক করে দিয়েছেন ভারতকে। ওয়ানডে ক্রিকেটে ভারতকে অনেকবার হারিয়েছে বাংলাদেশ। তবে টেস্টে এখনো জয় অধরা রয়ে গেছে। তাই বলে তাদের হালকা করে নেওয়ার কোনো সুযোগ দেখেন না সুনীল গাভাস্কার।
কিছুদিন আগে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করা বাংলাদেশ দলের ব্যাপারে ভারতকে আগেভাগে সতর্ক করে দিয়েছেন দেশটির কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান। গাভাস্কারের শঙ্কা, বাংলাদেশকে অবহেলা করলে পাকিস্তানের মতোই পরিণতি হতে পারে রোহিত শার্মার দলের। ২০২২ সালে বাংলাদেশ সফরে এসে সবশেষ দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল ভারত। টেস্টে জয় না পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে সফরকারীদের নাভিশ্বাস তুলে ছেড়েছিল বাংলাদেশ।
অল্পের জন্য ওই ম্যাচে বেঁচে যায় ভারত। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছন্দের কথা মনে করিয়ে গাভাস্কার বলেন, পাকিস্তানের মাঠে খেলা দুই টেস্টেই তাদের হারিয়ে বাংলাদেশ দেখিয়েছে, তারা এখন সমীহ করার মতো দল। কয়েক বছর আগেও ভারত দল যখন বাংলাদেশে গিয়েছিল, তাদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছিল বাংলাদেশ। এখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ জেতার পর তারা ভারতকেও কঠিন চ্যালেঞ্জ জানাতে প্রস্তুত।
গাভাস্কারের মতে, তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেলে গড়া বাংলাদেশ দল কাউকে আর ভয় পায় না। তাই ভারতীয় দলকে জয় নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে কোনোভাবেই অবহেলা না করার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে গাভাস্কার বলেন, বাংলাদেশ দলে কিছু দারুণ ক্রিকেটার আছে, কিছু নতুন প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে যারা আর প্রতিপক্ষকে দেখে ভড়কে যায় না।
যা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাদের শুরুর দিনগুলোতে দেখা যেত। অন্যদিকে বাংলাদেশের বর্তমান টেস্ট দলটিকে সেরা বলে মনে করেন ভারতের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার হার্শা ভোগলে। আসন্ন টেস্ট সিরিজে ভারতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ জ্বলে উঠবে বলে মনে করেন তিনি। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বাংলাদেশ দল নিয়ে হার্শা বলেন, আমি সত্যিই বিশ^াস করি দীর্ঘ সময়ের মধ্যে বাংলাদেশের এই টেস্ট দলটি আমার কাছে সেরা।
এই স্কোয়াডকে সেরা বলার এক নম্বর কারণ হচ্ছে তাদের গতিময় পেসার। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে রোমাঞ্চকর পেসার নাহিদ রানা। সব সময় আমরা সত্যিকারের পেসের কথা বলি, নাহিদের মধ্যে তেমনই আছে। পাকিস্তানের খুব ভালো ব্যাটারদের সে ভুগিয়েছে। আরেকজন হাসান মাহমুদ; যে বেশ কিছু উইকেট নিয়েছে। নিজেকে আরেকবার দেখানোর মঞ্চ পেয়েছে তাসকিন আহমেদ।
সত্যিকারের সেরা তিন পেসার পেয়েছে তারা। এ ছাড়া সাকিব আল হাসান ও মেহেদি হাসান মিরাজের মতো দুজন স্পিন বোলিং অলরাউন্ডারও আছে দলে। বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের মিডলঅর্ডার নিয়েও প্রশংসা করেন হার্শা। তিনি বলেন, তাদের ব্যাটিং লাইনআপে ৫-৮ নম্বর পজিশন যদি দেখেনÑ মুশফিকুর রহিম, সাকিব
আল হাসান, লিটন দাস ও মিরাজ আছে। তারা যেখানে ব্যাট করতে পারত তার চেয়ে এক ধাপ নিচে ব্যাট করে। এটা একটা দলের ব্যাটিং গভীরতা ও শক্তির জায়গা।