.
চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই দাপট দেখাচ্ছিলেন ইয়ানিক সিনার। বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জয়ের পর ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনালের টিকিটও কেটেছিলেন তিনি। এরপর প্রথম ইতালিয়ান হিসেবে মৌসুমের শেষ মেজর টুর্নামেন্ট ইউএস ওপেনের ফাইনালে উঠেই ইতিহাসের পাতায় নাম লেখান ইয়ানিক সিনার।
রবিবার জিতে নিলেন স্বপ্নের ইউএস ওপেনের ট্রফিটাও। ফাইনালে বর্তমান বিশ্বটেনিস র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর তারকা সিনার ৬-৩, ৬-৪ এবং ৭-৫ গেমে পরাজয়ের স্বাদ উপহার দেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১২তম বাছাই টেইলর ফ্রিৎজকে। এর ফলে রেকর্ডবুকেও নিজেকে নিয়ে গেলেন সিনার।
১৯৭৭ সালের পর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে একই বছরে জীবনের প্রথম দুটি গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের নজির গড়লেন তিনি। তার আগে এই কীর্তি গড়েছিলেন সাবেক আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি গুইলের্মো ভিলাস। তবে ইউএস ওপেন জিতলেও মনটা ভীষণ খারাপ ইয়ানিক সিনারের। কারণ তার প্রিয় আন্টির শরীর যে ভালো নেই। তাই অসুস্থ আন্টিকেই এই ট্রফি জয় উৎসর্গ করলেন তিনি। এ প্রসঙ্গে ২৩ বছর বয়সী সিনার বলেন, ‘আমার আন্টির শরীর ভালো নেই। আমি জানি না, তিনি কত দিন বাঁচবেন। আমার জীবনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। আমার যদি একটিই চাওয়া থাকে, সেটি হচ্ছে তার সুস্থ হয়ে ওঠা। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সেটি সম্ভব নয়। তবে এটা ভালো লাগছে যে, আমি এই মুহূর্তটা এখনো তার সঙ্গে ভাগাভাগি করতে পারছি।’
এদিকে ইতিহাসের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন টেইলর ফ্রিৎজও। ২১ বছরের মধ্যে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে ছেলেদের এককে আমেরিকাকে কোনো মেজর শিরোপা উপহার দেওয়ার সুযোগ এসেছিল তার সামনে। কিন্তু তার সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিলেন ইতালিয়ান তারকা সিনার। তবে দেশের সেই স্বপ্ন পূরণে ব্যর্থ হওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন ফ্রিৎজ। ফাইনালে হারের পর তিনি বলেন, ‘আমি জানি একজন চ্যাম্পিয়নের জন্য আমরা দীর্ঘ সময় ধরেই অপেক্ষা করছি। কিন্তু এবার সেটা পূর্ণ করতে না পারার কারণে আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’
২০০৩ সালে ইউএস ওপেনের শিরোপা উঁচিয়ে ধরেছিলেন অ্যান্ডি রডিক। আমেরিকানদের হয়ে ছেলেদের এককে সেটাই ছিল শেষবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজির। এবার সেই রডিকের কীর্তিতেই ভাগ বসানোর সুযোগ এসেছিল ফ্রিৎজের।