ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৮ ভাদ্র ১৪৩১

রাজনীতিমুক্ত ক্রীড়াঙ্গন চান ক্রীড়া সংগঠকরা

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৩৭, ১৫ আগস্ট ২০২৪

রাজনীতিমুক্ত ক্রীড়াঙ্গন চান ক্রীড়া সংগঠকরা

বুধবার পল্টনে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সামনে বক্তব্য রাখেন সাবেক জাতীয় ফুটবলার আমিনুল হক

‘ক্রীড়াঙ্গনের বিভিন্ন ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনে যে দুর্নীতির অভিযোগ আমরা পেয়েছি, সেগুলো খতিয়ে দেখছি। দুর্নীতির সঙ্গে যারা জড়িয়ে আছেন তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে। আমরা বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে দুর্নীতিমুক্ত রাখতে চাই। দুর্নীতিবাজদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে। প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি, আপনাদের সামনে একটি দুর্নীতিমুক্ত ও দলীয়মুক্ত ক্রীড়াঙ্গন উপহার দেব।’ 
বাংলাদেশ ক্রীড়া উন্নয়ন পরিষদের ব্যানারে বুধবার ক্রীড়া সংগঠক ও ক্রীড়াবিদরা ঢাকার পল্টনে অবস্থিত জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ টাওয়ারের সামনে মানববন্ধন করেন। সেখানেই উপরোক্ত মন্তব্য করেন বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক, তারকা গোলরক্ষক ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ক্রীড়া সম্পাদক আমিনুল হক।

আমিনুল আরও বলেন, ‘গত ১৫ বছর দেশের সব ফেডারেশনে আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারী কায়দায় রাজনীতিকরণ করেছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশ এখন স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে। ক্রীড়াঙ্গনের নতুন করে সংস্কারের লক্ষ্যে আজ থেকেই কাজে নেমেছি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদসহ প্রত্যেকটি ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনে সংস্কার করতে হবে।’

আমিনুল যোগ করেন, ‘ক্রীড়াঙ্গন রাজনীতির জায়গা নয়। যদি তারা দুর্নীতি না করতেন, তাহলে পালিয়ে যেতেন না। আমরা চাই, যারা দেশকে ভালোবাসেন, যারা ক্রীড়াঙ্গনকে ভালোবাসেন, তাদের প্রত্যেকটি মানুষকে নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দায়িত্ব দেব। কোনো দুর্নীতিবাজ ক্রীড়া সংগঠককে কোনো ফেডারেশনে আমরা আর দেখতে চাই না।

ক্রীড়া উপদেষ্টাকে অনুরোধ করব, আপনি ক্রীড়াঙ্গনের সবার সঙ্গে বসে আলোচনা করে, পরামর্শ নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কার শুরু করবেন। জেলা ও বিভাগীয় ক্রীড়া সংস্থায় সংস্কার আনতে হবে। প্রত্যেকটি জায়গাতেই আওয়ামী লীগের স্বৈরাচার ও প্রেতাত্মারা বসে আছে। আশাকরি, সবাই পতদ্যাগ করবেন।’ 
যোগ্যতার ভিত্তিতে মূল্যায়ন চান নারী সংগঠকরা ॥ নতুন বাংলাদেশে ক্রীড়াঙ্গনে আমূল পরিবর্তন আনতে এবার সোচ্চার নারীরাও। মহিলা ক্রীড়া সংস্থাসহ ফেডারেশনগুলোতে রাজনৈতিক পরিচয়ে নয়, নারী ক্রীড়াবিদদের প্রত্যাশা যোগ্যতার ভিত্তিতে হোক মূল্যায়ন। দেশের নারী ক্রীড়াবিদদের আঁতুড়ঘর বলা হয় মহিলা ক্রীড়া সংস্থাকে।

রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অন্য সব ফেডারেশনগুলোর মতো এই সংস্থার সভানেত্রী ও জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ মাহবুব আরা গিনিও পলাতক!
এ নিয়ে মহিলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুন নাহার ডানা বলেন, ‘একজন এমবি বা হুইপের তো নিজের নির্বাচনী এলাকায় অনেক কাজ থাকে। তাহলে তিনি সেটা বাদ দিয়ে ক্রীড়া সংস্থায় কেন? গত সাত বছর মাহাবুব আরা গিনি এখানে নির্বাচন হতে দেননি। তাকে ধিক্কার জানাই। ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করার কথা। কিন্তু সেটা হতে দেননি।’

ঢাকা জেলা মহিলা ক্রীড়া সংস্থার যুগ্ম সম্পাদক তাসনিম আকবরী শিল্পী বলেন, ‘আমরা চাই দ্রুতই একটা নির্বাচন হোক। যোগ্য ব্যক্তি যোগ্য হিসেবেই চেয়ারে বসুক।’ কমনওয়েলথ গেমসে স্বর্ণজয়ী শূটার সাবরিনা সুলতানা বলেন, ‘একজন খেলোয়াড় তৈরি করা, একটা কমিটি চালানো ও একটা ফেডারেশনও চালানোর যোগ্যতা আমাদের আছে।’

×