ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৭ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১

‘আমি আগেই বলেছিলাম গোল করব’

স্পোর্টস রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৪৬, ১২ জুলাই ২০২৪

‘আমি আগেই বলেছিলাম গোল করব’

ইংলিশ ফরোয়ার্ড ওলিভার ওয়াটকিন্স

টানা দ্বিতীয়বার ইংল্যান্ডকে ইউরোর ফাইনালে নেওয়ার নায়ক বদলি ফরোয়ার্ড ওলিভার ওয়াটকিন্স। বুধবার রাতে জার্মানির ডর্টমুন্ডে ম্যাচের ৯০ মিনিটে তার করা গোলেই সেমিফাইনালে হল্যান্ডকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে থ্রি লায়ন্সরা। ম্যাচ শেষে ওয়াটকিন্স জানিয়েছেন, ম্যাচের আগেই এমন গোলের ছবি এঁকেছিলেন তিনি।
তখন ম্যাচের ৯০ মিনিট। খেলা অতিরিক্তি সময়ে গড়ানোর অপেক্ষায়। যোগ করা সময় ধরলে ম্যাচ শেষ হতে বাকি আছে আর মিনিট খানেক। তখনই দুর্দান্ত এক গোল করে দলকে ফাইনালে তুলে নিয়েছেন ওয়াটকিন্স। ম্যাচ শেষে চওড়া হাসিতে তিনি বলেছেন, আমি আগেই বলেছিলাম, এরকম গোল করব। কারও কাছে হাস্যকর লাগতে পারে, কারও কাছে অবিশ্বাস্য। কিন্তু অলি ওয়াটকিন্সের গল্পটা যে সত্যিই এমন।  অন্তত তার দাবি এরকমই। তিনি জানেন, লোকে তার কথা বিশ্বাস করতে চাইবে না। ইংল্যান্ডের জয়ের নায়ক তাই দিব্যি দিয়ে বলেছেন, এমন গোলের ছবি ম্যাচের আগেই এঁকেছিলেন তিনি।
ডাচদের বিরুদ্ধে ইউরোর সেমিফাইনালের ৮০ মিনিটের পর অধিনায়ক হ্যারি কেনকে উঠিয়ে ওয়াটকিন্সকে মাঠে নামান ইংল্যান্ডের কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। ১-১ সমতায় থাকা ম্যাচে তখন দাপট বেশি ছিল ডাচদেরই। খেলার ধারায় মনে হচ্ছিল, ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে গড়ালে ইংলিশরাই স্বস্তি পাবেন। কিন্তু জাদুকরি একটি মুহূর্তেই সব পাল্টে দেন ওয়াটকিন্স। ম্যাচের বয়স তখন ৯০ মিনিট। কোল পালমার বল পেয়ে দুই ডাচ ফুটবলারের মাঝ দিয়ে দারুণ এক পাস দেন।

ডি বক্সের ভেতর ডান পাশে ওয়াটকিন্স বল ধরে আলতো করে ছিটকে ফেলার চেষ্টা করেন পাশে থাকা ডাচ ডিফেন্ডারকে। পরে শরীর ঘুরিয়ে আচমকা গতিময় এক গড়ানো শট নেন। ডাচ গোলকিপার ডাইভ দিয়েও নাগাল পাননি। পোস্ট ঘেষে  বল ঢুকে যায় জালে। আর যায় কোথায়। খ্যাপাটে উদযাপনে মেতে ওঠেন ওয়াটকিন্স। যোগ দেন দলের সতীর্থরা। ম্যাচ শেষে ওয়াটকিন্স বলেন, প্রাণের কসম কেটে বলছি কোল পালমারকে এটা বলেছিলাম আমি।

বলেছিলাম যে, আমরা মাঠ নামব এবং তুমি আমাকে গোল বানিয়ে দেবে। এজন্যই গোলের পর কোলির সঙ্গে এত হাসাহাসি করছিলাম। সে বল পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই জানতাম, আমাকেই বল দেবে। ওই সময়টায় নিজের ভেতরে তাড়না থাকতে হবে, বলে স্পর্শ ও ফিনিশিংটা ভালোভাবে করতে হবে। যখন দেখলাম বলটা ভেতরে ঢুকছে; সবচেয়ে সেরা অনুভূতি সেটি। তিনি আরও বলেন, অবিশ্বাস্য এই মুহূর্তটির জন্য সপ্তাহের পর সপ্তাহ ধরে অপেক্ষা করছিলাম।

আজকে যে জায়গায় এসেছি, এখানে আসতে অনেক অনেক কঠিন পরিশ্রমের পথ পেরোতে হয়েছে। আমি কৃতজ্ঞ যে সুযোগটা পেয়েছি।  দু’হাতে তা লুফে নিতে পেরেছি। খুব খুশি আর উচ্ছ্বসিত আমি। 
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে অ্যাস্টন ভিলার হয়ে অনেক গোলের সুযোগ হাতছাড়া করার ঘটনা যেমন ওয়াটকিন্সের আছে, তেমনি দারুণ সব গোল করার নজিরও আছে। তারকায় ঠাসা ইংল্যান্ড দলে একাদশে থাকা তো বহুদূর, বদলি হিসেবে মাঠে নামার সুযোগও সবসময় পান না। তিনিই এখন গোটা দেশের নায়ক। তার গোলেই প্রথমবার দেশের বাইরে বড় আসরের ফাইনালে উঠেছে ইংলিশরা।

×