.
স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ আরেকটি বিশ্বকাপ সামনে। বাংলাদেশ দলের সামনে নতুন করে চ্যালেঞ্জ ভালো কিছু করার। এখন পর্যন্ত ৮ বিশ্বকাপের সবটিতে অংশ নিয়ে আহামরি কিছু করতে পারেনি বাংলাদেশ দল। তবে প্রতিবারই দলকে নিয়ে উচ্চাশা ছিল ভক্ত-সমর্থকদের। এবারই ঘটনা কিছুটা ভিন্নতর, বাংলাদেশ দলকে নিয়ে বড় কোনো প্রত্যাশা নেই কারও। কারণ ৩ বার গ্রুপ পর্ব পেরোতে পারেনি দল এবং যে ৫ বার প্রাথমিক রাউন্ড পেরিয়েছে, তারপর আর ভালো করতে পারেনি। তবে বরাবরের মতো এবারও ভালো কিছু করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। আর কঠিন বাস্তবতাকে পুঁজি করে সবসময় কথা বলা প্রধান কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহেও এবার অন্য আসরগুলোর চেয়ে ভালো করার প্রত্যাশা জানিয়েছেন। ৩ বিশ্বকাপ খেলা বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান এবারও বাংলাদেশ দলের পেস বোলিংয়ে অন্যতম ভরসা। তবে তার সবচেয়ে বড় আক্ষেপ দেশের হয়ে বড় কোনো ট্রফি জিততে না পারা। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এবার অতীতের সবকিছু ভুলে ভালো করার প্রত্যয় জানিয়েছেন তিনি।
বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজ ডেথ ওভারে বিশ্বের অন্যতম সেরা হিসেবে বিবেচিত এবং পরীক্ষিত। তবে ক্যারিয়ারে বেশ উত্থান-পতন গেছে তার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পদার্পণের পর যতটা ভয়ানক ছিলেন সেই ধারটা এখন নেই। কিন্তু এরপরও মুস্তাফিজ বাংলাদেশ দলের ভরসা হয়েই খেলে যাচ্ছেন। স্লোয়ার এবং কাটারে পারদর্শিতা আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে, তা ছাড়া ব্যাটাররাও তাকে এখন বুঝে উঠতে সক্ষম হয়েছেন। তাই রহস্যময়তা এখন আর তেমন নেই মুস্তাফিজের। এবার বিশ্বকাপ নিয়ে তিনি বলেছেন,‘ভালো করার শেষ নেই, চেষ্টা করব পেছনে যা করছি, তার চেয়ে যেন আরও ভালো করতে পারি। আমরা কোনো বিষয়ে আটকে গেলে সাকিব ভাই, রিয়াদ ভাইদের কাছ থেকে জেনে সিদ্ধান্ত নিতে পারব।’ ডেথ ওভারে দুর্দান্ত বোলিংয়ে পারদর্শী এ বাঁহাতি ৩ বিশ^কাপে ১৫ ম্যাচ খেলে ৭.৫০ ইকোনমিতে ২০ উইকেট শিকার করেছেন। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের পক্ষে একমাত্র ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব তিনিই দেখান ২০১৬ সালের আসরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে। এবার আরেকটি বিশ্বকাপ। বিশ্ব ক্রিকেটের অনেক বড় তারকা এ বাঁহাতি পেসার বলেছেন, ‘দেশের হয়ে খেলা তো একটা গৌরবের বিষয়। আমি সব সময় দেশের হয়ে খেলাটা উপভোগ করি। আমার মনে হয় যখন কোনো বড় টুর্নামেন্ট হয়, কোনো বড় ট্রফি জেতে; তখন বড় খেলোয়াড় বলা হয়। এই আক্ষেপ তো সব সময় রয়েই গেছে।’
২টি ওয়ানডে ও ৩টি টি২০ বিশ্বকাপ খেলেছেন মুস্তাফিজ। কিন্তু কোনোবারেই দলের হয়ে ভালো কিছু অর্জন করতে পারেননি। তবে টি২০ ফরম্যাটটা বেশ ভালো লাগে মুস্তাফিজের। এ বিষয়ে তিনি বলেছেন, ‘ভালো লাগে, কারণ এই ফরম্যাটটা বেশ চাপের এই কারণে ভালো লাগে আমার। চাপটা অনেক উপভোগ করি।’ এবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন তিনি। তাই সবার নজর থাকবে বিশ্বকাপে মুস্তাফিজের দিকে। বাংলাদেশ দলের এখন পেস আক্রমণটা দারুণ গোছানো। সেখানে মুস্তাফিজও চাপেই থাকবেন। তবে আইপিএলের মতো বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় আসরে বিশ্বের সেরা তারকাদের সঙ্গে খেলা এ বাঁহাতি পেসার বলেছেন, ‘আমাদের যে পেস বোলাররা আছে যেমন তাসকিন, শরিফুল, সাইফউদ্দিন, হাসান; আমি যতটুকু শিখছি, সেগুলো ওদের সঙ্গে ভাগাভাগি করব। তাতে যদি আমাদের আরেকটু উন্নতি হয়। আমি আইপিএলে খেলতে গিয়েছিলাম ২০১৬ সালে। ওখানে ফিজ নামটা জনপ্রিয় হয়ে গেছে। এরপর থেকেই চলছে।’
